বরগুনার আন্ধার মানিক নদীর মাটি অবৈধভাবে কাটার দায়ে ৩ জনকে কারাদণ্ড, এস্কোভেটার জব্দ
বরগুনার তালতলী উপজেলার আন্ধার মানিক নদীর তীর থেকে মাটি কেটে পার্শ্ববর্তী জেলা পটুয়াখালীর কলাপাড়া ইটভাটায় নেওয়ার অপরাধে ৩জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার শারিকখালি ইউনিয়নের আঙ্গার পাড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন আন্ধার মানিক নদীর চরে স্কোভেটার দিয়ে মাটি কাটার অপরাধের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
এ সময় স্কোভেটার চালক ঢলুছরা কাউখালী রাঙ্গামাটি এ এলাকার মোজাম্মেল হকের পুত্র মহিউদ্দিন কে ১৫ দিন, স্কোভেটার চালকের সহযোগী চট্টগ্রাম রাঙ্গুনি এলাকার নুরুল হকের পুত্র খোরশেদ হককে ১৫ দিন,ও শারিক খালি ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া এলাকার নদীর পাড়ের মাটি বিক্রেতা বল হরি রায় এর পুত্র নিপেন রায় কে দুই মাস এর বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত আনোয়ার তুমপা। ওই অভিযানে মাটি বহনকারী ফেরি ও মাটি কাটার স্কোভেটার জব্দ করা হয়।
শারিক খালি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খান বলেন, প্রকাশ্যে বান্দর মানিক নদীর তীর থেকে অবৈধ ভাবে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছিলেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া এলাকার যমুনা ব্রিকস এর মালিক। এ সময় সেখানে আমরা ও গ্রামবাসীরা নিষেধ করলে তারা এ বিষয়ে কোন কর্ণপাত করছিলেন না। বিষয়টি ইউ এন ও মহোদয় থেকে জানালে তিনি ভ্রাম্যামাণ আদালতের সিদ্ধান্ত নেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, মাটি কাটার ফলে আন্ধার মানিক নদীর গতিপথ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও মাটি কাটার কারণে আন্ধার মানিক নদীর পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। তাই মাটি চুরি ও নদীর গতিপথ নষ্ট করার দায়ে অভিযুক্ত তিন ব্যক্তিকে ১ জনকে দুই মাস, ও অন্যদের পনেরো দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন