‘রুমা মারা গেছে’ ফোনে জানিয়ে লাপাত্তা শ্বশুরবাড়ির লোকজন
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বিলনালিয়া গ্রামে যৌতুক না পেয়ে রুমা আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তার লাশ শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে নগরকান্দা থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা সোহরাব থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত রুমার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে মাদারীপুরের শিবচর থানার কাদিরপুর গ্রামের সোহরাব মাতুব্বরের মেয়ে রুমা আক্তারের বিয়ে হয় ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বিলনালিয়া গ্রামের শওকত মোল্যার সঙ্গে। বিয়ের পর স্বামী শওকত মোল্যা বিদেশ চলে যান। এরপর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন রুমাকে বিভিন্নভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করতে থাকেন। বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য তাকে চাপ দেন।
মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ধারদেনা করে কয়েক লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয় শওকতের পরিবারকে। গত দুই মাস আগে সৌদি আরব থেকে স্বামী শওকত দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরেই তিনি যৌতুকের জন্য রুমা ও তার পরিবারকে চাপ দেন। বাড়ি করার জন্য তাকে টাকা দেয়া হয়। দুদিন আগে রুমা ফোন করে জানান, তাকে মারধর করা হচ্ছে।
নিহত রুমার বাবা সোহরাব মাতুব্বর জানান, রুমার স্বামী বিদেশে যাওয়ার সময় বেশকিছু টাকা দেয়া হয়। পরবর্তীতে কয়েক দফায় আরও টাকা দেয়া হয়। সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার পর বাড়ি করার কথা বলে শওকত আরও টাকা নেন। পরে তিনি আরও টাকা চান। টাকা না দেয়ায় মেয়েকে মারধর করেন। মেয়ে ফোন করে বিষয়টি তাকে জানান।
সোমবার সকালে রুমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফোন করে জানান, রুমা মারা গেছে। তবে সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ থানায় নিয়ে আসে।
রুমার বাবা সোহরার মাতব্বরের অভিযোগ, তার মেয়েকে যৌতুকের জন্য হত্যা করা হয়েছে। তিনি মেয়ে হত্যার বিচার চান।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সোহেল রানা বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। গৃহবধূ রুমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন