সংবাদ প্রকাশের পর

অবশেষে অপসারণ করে পূনরায় রোপণ করা হলো কৃষি অধিদপ্তরের সেই তালগাছগুলো

নওগাঁর রাণীনগরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ‘রাণীনগর-আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ‘ আ লিক মহাসড়কের পাকা অংশ ঘেঁষে রোপণ করা তালগাছগুলো অপসারণ করে পুনরায় রোপণ করা হয়েছে। রাণীনগর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে অপরিকল্পীত ও নিয়ম বহির্ভুতভাবে সড়ক ও জনপদ বিভাগকে না জানিয়ে সড়কের পাকা অংশ ঘেঁষে গাছগুলো রোপন করা হয়েছিল।

গাছ রোপনে ভবিষ্যতে একদিকে যেমন গাছের ডালপালা বিস্তারে সড়ক সংকুচিত হয়ে দূর্ঘটনার বড় ধরনের আশংকা করা হচ্ছিল,অন্যদিকে সড়ক প্রসস্তকরণে চরম বাধার সম্মখিন হতে হবে এবং গাছ কেটে সড়ক প্রসস্ত করলে সরকারের উদ্দেশ্য ভেস্তে যাবে এমন অভিযোগ উঠলে স্থানীয় ও জাতীয় এবং বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ হয়। এতে সংশ্লিষ্টদের নজরে আসায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে গাছগুলো অপসারণ করে নিরাপদ দুরুত্ব বজায় রেখে পুনরায় রোপণ করা হয়েছে। তবে প্রদর্শনীর রোপনকৃত গাছগুলোর ব্যয় বরাদ্দের পরিমান জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। অবশ্য জেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেছেন,সংশ্লিষ্ট প্রকল্প অফিস থেকে গাছগুলো কিনে দিয়েছে,কৃষি অফিসার শুধু রোপন করেছে।

জানাযায়,আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারনের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সড়কের দুই ধারে তালগাছ রোপণ করা হয়। রাণীনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে গত (১১ জুন) আনুষ্ঠানিকভাবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাণীনগর-আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ আ লিক মহাসড়কের কালীগ্রাম ডাকাহার নলপুকুরের মোড়ের অদুর থেকে সড়কের দুই ধারে চারশত পিস তালগাছ রোপনের উদ্বোধন করা হয়। এতে স্থানীয়রা অভিযোগ তোলেন,গাছগুলো সম্পন্ন অপরিকল্পীতভাবে রোপন করা হয়েছে। কোথাও সড়কের পাকা অংশ থেকে দেড় ফিট আবার কোথাও দুই/তিন ফিট দুরত্বে রাপন করা হয়েছে। এতে গাছগুলো ধীরে ধীরে যত বড় হবে গাছের ডালগুলোও তত দ্রæত সড়কের পাকা অংশের মধ্যে ছড়িয়ে পরবে। ফলে পাকা সড়ক সংকুচিত হয়ে চলাচলে চরম বাধার সৃষ্টি হয়ে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটবে।)

এছাড়া সড়কটি কখনো প্রসস্ত করার প্রয়োজন দেখা দিলে গাছ কেটে প্রসস্ত করতে হবে। ফলে প্রকল্পের উদ্দেশ্য চরমভাবে ভেস্তে যাবে। তাই দ্রæত গাছগুলো অপসারণ করে পাকা অংশ থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে পূনরায় রোপনের দাবি জানানো হয়। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় এবং স্থানীয় ও বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে নজরে আসে সংশ্লিষ্টদের। এর পর গাছগুলো অপসারণ করে নিরাপদ দুরুত্ব বজায় রেখে পুনরায় রোপণ করা হয়েছে।

নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নুরে আলম বলেন,রাণীনগর কৃষি অধিদপ্তর আমাদের না জানিয়েই অপরিকল্পীতভাবে পাকা অংশ ঘেঁষে তালগাছগুলো রোপণ করেছিল। পরে বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হলে আমাদের নজরে আসে। এরপর নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার আমরা গাছগুলো অপসারণ করে পাকা অংশ থেকে নিরাপদ দুরুত্ব বজায় রেখে পুনরায় রোপণ করেছি।

প্রদর্শনীর তালগাছ রোপনে ব্যয় বরাদ্দের পরিমান জানতে চাইলে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারহানা নাজনীন বলেন,আপনি এটা আমার কাছে জানতে পারেননা। প্রদর্শনীতে ব্যয় বরাদ্দ যেভাবে আছে সরকারী বিধিমালা অনুসারে সেভাবেই খরচপাতি করা হয়েছে।
নওগাঁ জেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন,সড়ক ও জনপদ বিভাগের রাস্তা বাদ দিয়ে কৃষক কাজ করে এরকম মেঠোপথে বা শাখা সড়কে তালগাছগুলো রোপনের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। কিন্তু পরিকল্পনায় ভুল করে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়কে গাছগুলো রোপন করেছেন।তালগাছ রোপনে ব্যয় বরাদ্দের পরিমান জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন,সংশ্লিষ্ট প্রকল্প অফিস থেকে গাছ কিনে আমাদের সরবরাহ করেছেন,আমরা শুধু গাছগুলো রোপণ করেছি। তবে কি পরিমান ব্যয় বরাদ্দ রয়েছে তা এ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্মকর্তা বলতে পারবেন।