অসৎ উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করছে অনেক এনজিও

কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিওগুলো ‘অসৎ উদ্দেশ্য’ নিয়ে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ওখানে (কক্সবাজার) কিছু এনজিও আছে, ধারণা করা হচ্ছে, আমাদের গোয়েন্দা রিপোর্টেও সেগুলো লক্ষ্য করছি, অনেক এনজিও-ই ইল মোটিভ (অসৎ উদ্দেশ্য) নিয়ে কাজ করে।‘

রোহিঙ্গাদের জন্য বিদেশ থেকে আসা টাকা ভুক্তভোগীদের পেছনে ২৫ শতাংশও খরচ হয় না। ৭৫ ভাগই খরচ হয় এগুলো দেখাশোনা করার জন্য বিভিন্ন এনজিওকর্মীর পেছনে। বললেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মোজাম্মেল হক বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। এটা আরও খতিয়ে দেখার জন্য আমরা গোয়েন্দা বাহিনীকে বলেছি। অভিযোগের যথার্থতা নিরূপণের জন্য তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, অনেক এনজিও অসৎ উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করছে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের ওখানে কিছু এনজিও আছে, তারা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে। আমাদের গোয়েন্দা রিপোর্টেও সেগুলো লক্ষ্য করছি। অবাক করার মতো তথ্য যে, গত সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত (রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা এনজিওগুলো) হোটেল বিল দিয়েছে দেড়শ কোটি টাকার ওপরে, ফ্ল্যাট বাড়ি ভাড়া দিয়েছে আট কোটির টাকারও বেশি। রোহিঙ্গাদের জন্য বিদেশ থেকে যে টাকা আসে তার ২৫ শতাংশও তাদের জন্য খরচ হয় না। ৭৫ ভাগই খরচ হয় এগুলো দেখাশোনা করার জন্য এনজিওকর্মীদের জন্য খরচ হয়।

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যেন মিয়ানমার থেকে আর না আসতে পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে।

তিনি বলেন, ভাসানচর এলাকাটি বসবাসের উপযুক্ত করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের কোথায় রাখা হবে, সেটা বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের বিষয়। বিদেশিরা তাদের মানবিক দিকগুলো দেখবে। আমাদের বিষয়ে নাক গলানো তাদের দরকার নেই।