আগামী বছর থেকে শনিবার খোলা থাকতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান!

আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে শনিবারও স্কুল খোলা থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। রমজানের ছুটি সমন্বয় করতে এ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষার মাধ্যমে ইতিহাসকে বেশি বিকৃত করা হয়েছিল। এই সময়ের সরকারগুলো মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার এমন হীন কোনো প্রচেষ্টা নেই যা তারা করেনি। ভুল বুঝিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বিভিন্নভাবে বিতর্কিত করেছিল। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় সব ধর্ম-বর্ণের লোক স্বাধীনভাবে থাকবে। এখনো শিক্ষাব্যবস্থাকে গোঁড়ামির দিকে নিয়ে যেতে একটি শক্তি সক্রিয় রয়েছে।’

পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যালয় খোলা থাকা নিয়েও বিভিন্ন ধরনের প্রচার-অপপ্রচার হয়েছে মন্তব্য করে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘যেহেতু এই বছর বিষয়টি এসেছে। আমরা আগামীতে চেষ্টা করব বছরে ৫২টি শনিবার আছে। সেখানে যদি বিদ্যালয় কিছুটা খোলা রেখে যদি রমজানের ক্ষেত্রে যে বিতর্ক হচ্ছে, বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস যারা করছে তাদের অপ্রয়াস যাতে বন্ধ করতে পারি। সে লক্ষ্যে আমরা একটা পরিকল্পনা করব। যাতে আদালতে গিয়ে মিথ্যা গুছিয়ে বিভ্রান্ত করে রায় নিয়ে এসে, সে ধরনের অপচেষ্টা কেউ না করতে পারে। এটা নিয়ে রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করতে না পারে; আমরা চেষ্টা করব।’

সংবেদনশীলতার জায়গায় অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে আলেম ওলামাদের সঙ্গেও আলোচনা করব, তাদের একটা অবস্থান আছে এ বিষয়ে। আগামীতে শিক্ষা পরিবার সংবিধানের মূলনীতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সুষম বাংলাদেশ সৃষ্টি করব আমরা যেখানে পিছিয়ে পড়া মানুষেরও শিক্ষা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন না।’

প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি যাতে না পড়ে সে কারণে ঘণ্টা ঠিক পাঠদান ব্যবস্থা ঠিক রাখতে রমজানের শুরুতে মাত্র কয়েকদিন বিদ্যালয় খোলা রাখায় একটি মহল নানা অপ্রচার চালায়। ধর্মীয় উসকানির পর্য়ায়ে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করে তারা। বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বছরের ৫২ দিন শনিবারের ছুটি বাতিলের চিন্তা-ভাবনা শুরু করে।