আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেল যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সিনেমা ‘ইনফিনিটি’

দক্ষিণ ভারতীয় আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবে বিজয়ী হয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের তৈরি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ‘ইনফিনিটি’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের তিনজন শিক্ষার্থীর উদ্যোগে নির্মিত এ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটিকে কর্নাটক ইয়ুথ ইন্টারন্যাশনাল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভাল ২০২১ এ বেস্ট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড উইনার হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

এ সংবাদটি সম্প্রতি নির্মাতা শিক্ষার্থীদের ইমেইলের মাধ্যমে জানায় কর্তৃপক্ষ।

প্রায় ১০ মিনিটের এ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে দেখা যায়, পরীক্ষার হলে বসা শিক্ষার্থী তার উত্তরপত্রে যে প্রশ্নের যে উত্তর দিতে চাইছেন তাতে দাগ দিতে পারছেন না। খাতায় প্রশ্ন ছিলো, শিক্ষার্থী তার পিতা-মাতার সেবা ও গরিবের সাহায্য করেছেন কি না, যার উত্তর সেই শিক্ষার্থী দিতে পারেনি। কারণ তিনি কখনো পিতামাতার সেবা বা গরিবদুঃখীদের সাহায্য করেনি। আর তৃতীয় প্রশ্ন ছিলো জীবনে কী ভালো কাজ করেছে, অনেক চেষ্টাতেও তার উত্তর দিতে পারেননি তিনি। আর এসব মহৎ কাজ না করার জন্য তাকে জাহান্নামে যেতে হবে এটা বোঝানো হয়েছে। এসব বিষয় নিয়েই নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের এ সিনেমাটি।

চলচ্চিত্রটির পরিচালনা ও চিত্রনাট্য লিখেছেন যবিপ্রবি শিক্ষার্থী রেদোয়ান উল্লাহ হিমেল। এতে অভিনয় করেছেন মাজহারুল ইসলাম আশিক ও বিন্তু ফাহিম।

সিনেমাটি সম্পর্কে অভিনেতা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ফিল্মটি তৈরি করার পর প্রতিযোগিতার জন্য প্রায় ১২ টি ফেস্টিভালে জমা দিয়েছিলাম। এর মধ্যে পাঁচটিতে আমাদের এ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি নির্বাচিত হয়েছে। আর এর মধ্যে একটিতে বেস্ট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড উইনার হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে। সিনেমাটি ফেস্টিভালের ফেসবুক গ্রুপে প্রকাশ করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বেঁচে থাকতে হলে সর্বদা ভালো কাজ করতে হবে এটাই এই স্বল্পচিত্রের মূলকথা। মানুষকে বেঁচে থাকার জন্যই ভালো ও ন্যায় কাজ করতে হবে। আর এই ফিল্ম উৎসর্গ করা হয়েছে জুবায়ের আর মামুন নামে একজন পদার্থবিজ্ঞান শিক্ষকে। তিনি আমাদের ‘‘ইনফিনিটি’’র সাথে পরিচয় করে দিয়েছিলেন।’