ইরাকে হামলায় ৯ পুলিশ নিহত, আইএসের দায় স্বীকার

বাগদাদ থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার উত্তরে তেল সমৃদ্ধ শহর কিরকুকের কাছে হামলার ঘটনাটি ঘটে। ইরাকের উত্তরাঞ্চলে বোমা ও বন্দুক হামলায় অন্তত নয় পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

রোববার রাজধানী বাগদাদ থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার উত্তরে তেল সমৃদ্ধ শহর কিরকুকের কাছে হামলার ঘটনাটি ঘটে।

ওই এলাকার চালাল আর-মাতার গ্রামের কাছে পুলিশ সদস্যদের বহনকারী একটি ট্রাককে লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলাটি শুরু করা হয়।বিস্ফোরণের পর ‘ছোট আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সরাসরি হামলা চালানো হয়’ বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এ হামলায় আরও দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।এক কর্মকর্তা বলেন, “এক হামলাকারী নিহত হয়েছে। অন্যদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি আমরা।”
বাগদাদ থেকে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।এর আগে ১৪ ডিসেম্বর বাগদাদের কাছে রাস্তার পাশে পেতে রাখা এক বোমা বিস্ফোরণে তিন ইরাকি সেনা নিহত হয়েছিল, আইএস ইতোমধ্যে ওই হামলার দায়ও স্বীকার করেছে।আইএস একসময় ইরাকের পূর্বাঞ্চল থেকে শুরু করে প্রতিবেশী সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত ৮৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নিয়ে সেখানে তাদের শাসন কায়েম করেছিল।

কিন্তু ২০১৭ সালে সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলের শক্তিকেন্দ্রগুলো থেকে আইএস জঙ্গিদের হটিয়ে দেওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে জয় ঘোষণা করে ইরাকি বাহিনীগুলো। ২০১৯ সালে আইএসের দখলে থাকা শেষ অঞ্চলটি থেকেও তাদের হটিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু জঙ্গি গোষ্ঠীটি একটি ‘অবিরাম হুমকি’ হিসেবে রয়ে গেছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

তাদের এক হিসাবে বলা হয়েছে, সিরিয়া ও ইরাকে আইএসের ছয় হাজার থেকে ১০ হাজার যোদ্ধা আছে। এদের অধিকাংশই দেশ দুটির গ্রামীণ এলাকায় আত্মগোপন করে আছে আর হঠাৎ হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাওয়া, চোরাগোপ্তা হামলা ও রাস্তার পাশে বোমা পেতে রাখার মতো বিভিন্ন গেরিলা কায়দায় আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

এক পর্যবেক্ষণে জাতিসংঘ জানিয়েছে, একের পর এক নেতা হারালেও গোষ্ঠীটির এখনও ‘জটিল আক্রমণ’ চালানোর মতো সক্ষমতা রয়ে গেছে।