ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত

ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনে কুয়াকাটার দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতসহ সকল দর্শনীয় স্থানেই এখন পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত।

গত দুই দিনের তুলনায় ঈদের তৃতীয় দিনে এই পর্যটন নগরীতে বাড়তি পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আগন্তুকদের ভ্রমনে হাসি ফুটেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মুখে। তাদের সার্বিক নিরাপত্তায় সর্বদা মাঠে নিয়োজিত রয়েছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ।

প্রতি বছরই বিশেষ কোন দিনে সরকারী ছুটিতে কুয়াকাটায় আগমন ঘটে হাজারো পর্যটকের। তবে এবছর ঈদের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে পর্যটকের কিছুটা কমতি থাকলেও তৃতীয় দিনে পর্যটকের ঢল নেমেছে সৈকতে। আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়ীতে গাঁ ভাসিয়ে হৈ-হুল্লোরে মেতেছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। আর প্রথমবার কুয়াকাটায় আসা আগন্তুকরা ঘুরে দেখছেন বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন মার্কেট, শুটকি পল্লী ও ইলিশ পার্কসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পর্ট। সবমিলিয়ে সৈকতে এখন বিরাজ করছে ঈদের আমেজ । ফাঁকা নেই হোটেল মোটেলর কক্ষ। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে আগের তুলনায় অনেক পর্যটকের আগমন ঘটেছে বলে দাবি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের।

তবে ভ্রমন পিপাসুরা বলছেন, মায়াবী সাগর কণ্যার রুপ অবলোকনে যারাই আসছেন তা খুবই অল্প সময়ের জন্য অবস্থান করছেন কুয়াকাটায়। বিশেষ করে বিনোদনমূলক তেমন কোন স্থান না থাকায় এখন দুই একদিনেই বাড়ি ফিরছেন অনেকে। এমনকি মানসম্মত খাবার হোটেল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেক পর্যটক। ফরিদপুর থেকে আসা মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী নবনিতা দেবনাথ বলেন, আমরা ঈদের ছুটিতে পরিবারের সবাই একসাথে কুয়াকাটায় এসেছি। এখানে সৈকত ছাড়া তেমন কোন বিনোদন মাধ্যম নেই । যেখানে দীর্ঘ সময় উপভোগ করার মতো। সিলেট থেকে আসা পর্যটক আল-আমিন জানান, ব্যবসায়ীক ব্যস্ততার জন্য খুব একটা ভ্রমনে আস হয়না। কিন্তু এবার পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় পরিবার নিয়ে এসেছি। তবে এখানে উচ্চমানের খাবার হোটেল নেই এটা দেখে অবাক হয়েছি।

কুয়াকাটা কানসাই ইন হোটেলের পরিচালক নাসীর উদ্দিন জানান, অপেক্ষাকৃত ঈদের তৃতীয় দিনে পর্যটকের সংখ্যা অনেকগুন বেড়েছে। এবারের ঈদুল আজহায় বিগত দিনের তুলনায় পর্যটক সংখ্যা বাড়রে ভেবেই তাদের সেবা দিতে আগে ভাগেই সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যাতে করে পর্যটকদের সেবায় কোন ত্রæটি না ঘটে।কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনওয়ার হাওলাদার বলেন, পর্যটকদের চাহিদানুযায়ী উন্নত মানের খাবার হোটেল নির্মাণ এখন প্রয়োজন। তবে এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার অহবান জানান তিনি।

কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, আগত পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার লক্ষ্যে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকের আইনশৃংখলা বাহিনীও মাঠে কাজ করছে।