এই ম্যাচে এমন ব্যাটিং দক্ষিণ আফ্রিকার!

ম্যাচটা কোয়ার্টার ফাইনালের মতো। হারলেই বিদায়। আর সেই ম্যাচেই কি না দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং এমন! বিস্ফোরক দুই ওপেনার তাদের। হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক ভারতের বোলিংকে তাই বলে এতোটা সমীহ করবেন! টস হেরে ব্যাট করছে প্রোটিয়ারা। ৫ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ২১, ১০ ওভার পর ৩৫! ১৩তম ওভারে আবার হার্দিক পাণ্ডিয়ার বলে ১৬ রানে থাকা আমলা লাইফ পেয়ে যান! প্রোটিয়াদের এমন খেলা দেখে তাদের ভক্তদেরও চুল ছেড়ার শঙ্কা থেকে যায়!

এই প্রতিবেদন লেখার সময় চ্যাম্পিযন্স ট্রফিতে ‘বি’ গ্রুপে বাঁচা-মরার ম্যাচটিতে ১৭.৩ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ১উইকেট হারিয়ে ৭৬ রান। মাত্রই আউট হয়েছেন হাশিম আমলা (৩৫)। ডি কক ৩০ রানে ক্রিজে আছেন। কিছুক্ষণ হলো প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা রবিচন্দ্রন অশ্বিন হাতে বল পেয়েছেন। তারই প্রথম শিকার আমলা।

ভারতেরও এটা সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচ। হারলেই বিদায়। সেই ম্যাচে তারা প্রাণ দিয়ে বল করবে স্বাভাবিক। কিন্তু ভূবনেশ্বর কুমার ও জসপ্রিত বুমরাহর নতুন বলে এতো আগুন তো ছিল না। তবু সতর্ক, খুব সাবধানী আমলা-ডি কক। পঞ্চম ওভারে প্রথম বাউন্ডারি দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে। সেটি ডি ককের। পরের ওভারে বুমরাহকে প্রথম বাউন্ডারি আমলার। আবার বিরতি। একটু একটু করে চলা। শেষে ১৫তম ওভারেই যা একটু আগুনের দেখা মেলে। আমলা ওভারের প্রথম ও শেষ বলে যথাক্রমে ছক্কা ও বাউন্ডারি মারলেন হার্দিক পান্ডিয়াকে। খোলস থেকে বের হওয়ার ইঙ্গিত!

কিন্তু কোথায় কি? সেই অশ্বিনের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে আমলা হয়ে গেলেন শিকার। সাদামাটা বলই মনে হয়েছিল। কিন্তু স্কিড করে। একটু দেরীতে কাট করার শাস্তি পেলেন আমলা। ব্যাটে চুমু খেলে উইকেটকিপার এমএস ধোনির হাতে বল। প্রথম উইকেট নেওয়ার উল্লাসে ভারত দল।