পালমাসের বিপক্ষে বার্সেলোনার জয়

ম্যাচজুড়ে আক্রমণে আধিপত্য করল বার্সেলোনা। প্রতিপক্ষে একজন কম থাকায় তাদের জন্য সুবিধা হলো আরও। যদিও বারবার বাধা হয়ে এলো ক্রসবার আর পোস্ট। তবে ঠিকই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল কাতালান দলটি।

অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শনিবার (৩০ মার্চ) রাতে লা লিগার ম্যাচটি রাফিনিয়ার একমাত্র গোলে জিতেছে শিরোপাধারীরা। এই জয়ে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে বার্সেলোনার ব্যবধান নেমে এসেছে ৫ পয়েন্টে। দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার কারণে এদিন বার্সেলোনার ডাগআউটে ছিলেন না কোচ শাভি এর্নান্দেস।

শুরু থেকে আক্রমণে ছড়ি ঘোরায় বার্সেলোনা। পঞ্চম মিনিটে রবের্ত লেভানদোভস্কি পালমাসের জালে বল পাঠালেও অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। ষোড়শ মিনিটে বাঁ দিক থেকে লেভানদোভস্কির একটি শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক। ২০তম মিনিটে রাফিনিয়া বল জালে পাঠালেও ফের অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। ২৪তম মিনিটে বড় এক ধাক্কা খায় পালমাস। বক্সের বাইরে বেরিয়ে এসে রাফিনিয়াকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন দলটির গোলরক্ষক আলভারো ভায়েস। একজন ফরোয়ার্ডকে উঠিয়ে নতুন গোলরক্ষক নামায় সফরকারীরা।

৩৫তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোল পাননি লেভানদোভস্কি। জোয়াও কানসেলোর ক্রসে পোলিশ স্ট্রাইকারের হেড ক্রসবারে লাগে। পরের মিনিটে তার শট উড়ে যায় ওপর দিয়ে। বিরতির আগে ফের্মিন লোপেসের নিচু শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। রাফিনিয়ার একটি শটও পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধে গোলের জন্য বার্সেলোনা আটটি শট নিলেও লক্ষ্যে ছিল শুধু একটি। এই সময়ে স্বাগতিক গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনকে তেমন পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি পালমাস।

আক্রমণে আধিপত্য ধরে রেখে ৫৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। জোয়াও ফেলিক্সের ক্রসে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া। ৭৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। কাছ থেকে ফেলিক্সের শট ক্রসবারে লেগে গোলরক্ষকের গায়ে পড়ে পোস্টে লাগে। শেষ দিকে ভালো একটি সুযোগ তৈরি করে পালমাস। আলবের্তোর বাঁ পায়ের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে হাঁপ ছেড়ে বাঁচে বার্সেলোনা।

৩০ ম্যাচে ২০ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে বার্সেলোনা। শীর্ষে থাকা রিয়ালের পয়েন্ট ৭২, একটি ম্যাচ কম খেলেছে তারা। তাদের সমান ২৯ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে জিরোনা। ৩০ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে ১২ নম্বরে আছে লাস পালমাস।