এবার ঢাকাতেই হবে হজ যাত্রীদের সৌদি ইমিগ্রেশন

পবিত্র হজ পালনে প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২০ লাখ মানুষ সৌদি আরবে যান। জেদ্দা বিমানবন্দরে একের পর এক বিমান নামতে থাকায় ইমিগ্রেশনে জট লেগে যায়। ভ্রমণের ক্লান্তি নিয়ে এহরাম বাধা অবস্থায় দীর্ঘ সময় টার্মিনালে অপেক্ষা করতে হয় ইমিগ্রেশনের জন্য। ভোগান্তি কমাতে বাংলাদেশের অনুরোধে ঢাকায় বিমানে ওঠার আগেই সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন করার বিষয়ে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে আসছে কারিগরি দল।

গেলো ১৩ মার্চ ধর্ম মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সাথে বৈঠক করবেন তারা। ধর্ম সচিব জানান, ৬ এপ্রিল আসবেন সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ্ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সচিব মো আনিছুর রহমান বলেন, ‘এয়ারপোর্ট ভিজিট করবে, এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি দেখবে বা অন্যান্য প্রযুক্তিগত দিকগুলো দেখবে। কোথাও কোন কমতি আছে কিনা এগুলো তারা দেখবে।’

বাংলাদেশে আগাম ইমিগ্রেশন হলে দুর্ভোগ কমার পাশাপাশি সময়ও বাঁচবে – মনে করেন হজ এজেন্টরা। অবকাঠামো স্বল্পতা বা আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এই সেবার প্রক্রিয়া যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সেটি নিশ্চিত করার তাগিদ হাব মহাসচিবের। হজ এজেন্ট মাসউদুর বলেন, ‘এখানে অনেক দীর্ঘ লাইন থাকে, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ যারা থাকেন তাদের নিয়ে আমাদের কষ্ট করতে হয়।’

বর্তমানে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার হজ যাত্রীরা আগাম ইমিগ্রেশনের সুবিধা পাচ্ছেন। বাংলাদেশ হবে এই সুবিধাপ্রাপ্ত তৃতীয় দেশ। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ পালনে সৌদি আরব যাওয়ার কথা রয়েছে।