এরশাদের দাফন রংপুরেই

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের মিরদেহ তার নিজ এলাকা রংপুরেই দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী।

তিনি জানান, রংপুরের মানুষের ভালোবাসায় শ্রদ্ধা রেখে রংপুরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দাফন করার অনুমতি দিয়েছেন বেগম রওশন এরশাদ। পাশে রওশন এরশাদের জন্য কবরের জায়গা রাখার অনুরোধও করেছেন তিনি।

এবিষয়ে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের সাংবাদিকদের বলেন, আমরা প্রথম থেকেই চাচ্ছিলাম এরশাদকে রংপুরে সমাহিত করবো। তবে ভাবি (রওশন এরশাদ) বিভিন্ন কারণে চাচ্ছিলেন তাকে ঢাকায় দাফন করতে। তবে রংপুরের মানুষের আবেগ ও ভালোবাসার কারণে সর্বসম্মতভাবে আমরা তাকে এখানেই সমাহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভাবিও এতে রাজি হয়েছেন।

এর আগে রংপুরে এরশাদের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। বেলা আড়াইটায় রংপুর কালেক্টরেট মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে জানাজা শেষে লাশবাহী গাড়ি মাঠ ছেড়ে যেতে চাইলে নেতাকর্মীরা বাধা দেন। তারা এরশাদকে রংপুরে দাফনের দাবিতে সেখানেই অবস্থান করেন। তবে বাধা ঠেলেই লাশ এরশাদের বাসভবন পল্লী নিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়।

তারও আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও পুরনো বিমানবন্দর থেকে এরশাদের মরদেহবাহী হেলিকপ্টার রংপুরের উদ্দেশে রওনা হয়।

এরশাদের কফিনের সঙ্গে যান তার ছোট ভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের, এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু।

প্রসঙ্গত, গত রোববার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি রক্তে সংক্রমণসহ লিভার জটিলতায় ভুগছিলেন। রোববার বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় এবং বাদ আসর বায়তুল মোকাররম মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রংপুরে চতুর্থ জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।