কথা রাখলেন উপাচার্য : ক্যাম্পাসজুড়ে সুপেয় পানির ব্যবস্থা

গোপালগঞ্জ শহর নদী বিধৌত ও অতিরিক্ত খাল-বিল থাকাতে এ অঞ্চলের পানি অতিরিক্ত লবণাক্ত। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পাশ্ববর্তী এলাকায় নলকূপের মাধ্যমে তোলা পানি পান করা যায় না। দীর্ঘদিন ধরে পানি কিনে খেতে হতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের। তাই শিক্ষার্থীদের দাবি ছিলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবকে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন “সুপেয় পানি শিক্ষার্থীদের দাবি নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীদের অধিকার। ক্যাম্পাস খোলার সাথে সাথেই সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হবে। ”

কথা রেখেছেন উপাচার্য। সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হল, একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের সবকয়টি তলায় একাধিক স্থানে বসানো হয়েছে টিপকল। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করার ফাঁকে শ্রেণীকক্ষ থেকে বেরিয়ে পান করতে পারছেন বিশুদ্ধ পানি। এ নিয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা।

এক সময় শ্রেণিকক্ষে ঢুকলে আর পানি পান করতে পারতেন না শিক্ষার্থীরা। বাসা থেকে পানির বোতল নিয়ে, দোকান থেকে কিনে অথবা শ্রেণিকক্ষে ‘পানির জার’ কিনে পানি পান করতে হতো শিক্ষার্থীদের। কিন্তু, বর্তমান উপাচার্যের তৎপরতায় সহজে বিশুদ্ধ পানি পান করছেন শিক্ষার্থীরা।এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, এক সময় আবাসিক হলে এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের পর পানি কিনে খেতে হতো। এখন পানির ব্যবস্থা হওয়ায় যেমন অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে না, তেমনি যেকোনো সময় বিশুদ্ধ পানি খেতে পারছি।
কৃষি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন জনি বলেন, “গোপালগঞ্জে পানির সমস্যা প্রকট। বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপেয় পানির ব্যাবস্থা করায় শিক্ষার্থীরা পান পান সংক্রান্ত ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছে এবং সহজেই হাতের নাগালে বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারছে।”

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমাদের হলে পানি কিনেই খেতে হতো।কিন্তু উপাচার্য স্যারের এই ব্যবস্থার ফলে সবাই উপকৃত হয়েছি। স্যারকে ধন্যবাদ সকল শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান করার জন্য। “