কমিটির মেয়াদ শেষ, তবু ছাত্রদলের কমিটি পূর্ণাঙ্গের দাবিতে পদবঞ্চিতদের স্মারকলিপি

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিলে ফজলুর রহমান খোকন সভাপতি এবং ইকবাল হোসেন শ্যামল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর ৬০ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর এ কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি বর্তমান নেতৃত্ব। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ শেষ হয়।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি স্বল্প মেয়াদে হলেও পূর্ণাঙ্গ করার দাবিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন সংগঠনের পদবঞ্চিত শতাধিক নেতা।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে তারা স্মারকলিপি দেন।

পদবঞ্চিতরা স্মারকলিপিতে বলেন, আমরা ওয়ান ইলেভেনের দুঃসময় থেকে শুরু করে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। বারবার জেল-জুলুম ও নিপীড়নের শিকার হয়েও রাজপথ ছাড়িনি। এরপর ২০১৩ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরের আন্দোলন ও ২০১৫ সালের আন্দোলনসহ দলীয় সব কর্মসূচিতে আমরা সক্রিয় থেকেছি। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও ছাত্রদলের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়নি। আমরা এ নিয়ে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বারবার সাক্ষাৎ করে দুঃসময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নেতাকর্মীদের প্রাপ্য মূল্যায়ন নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছি।

‘২০২১ সালের জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতীকী অনশনের মাধ্যমে মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেছি। ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি কোনো দাবি নয়, নেতাকর্মীদের প্রাপ্য অধিকার। ছাত্রদলের ইতিহাসে এবারই প্রথম দীর্ঘ আড়াই বছরেও কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে না পারা।’

তারা বলেন, বিদ্যমান কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হলে আমাদের অনেক সহযোদ্ধাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বিপন্ন হতে পারে। পরবর্তীসময়ে কমিটির বয়সের বিধিনিষেধের জটিলতায় অনেকেই বাদ পড়তে পারেন। এমতাবস্থায় শীর্ষ নেতাদের উদাসীনতায় আমরা আশা-ভরসা ও ন্যায্যতা প্রাপ্তির চূড়ান্ত ভরসাস্থল হিসেবে একান্তই বাধ্য হয়ে আপনার দ্বারস্থ হলাম। আমরা শুধু একটা সাংগঠনিক পরিচয় নিয়ে কাজ করার সুযোগ চাই। আমরা স্বল্প মেয়াদের জন্যে হলেও আমাদের প্রাপ্য একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি চাই।