কলাপড়ায় সংখ্যালঘু ঘরে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় একটি সংখ্যালঘু (রাখাইন)পরিবারকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দুর্বৃত্তরা হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় ওই পরিবারের সদস্যদের ঘরের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে বাহির থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বালীয়াতলী ইউপির তুলাতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় তাদের ডাকচিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তালা ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শনিবার সকালে কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভুক্তভোগী পরিবারটি।

ওই পরিবারের সদস্য মায়া রাখাইন জানান, তাদের ওয়ারিশপ্রাপ্ত জমিতে ঘরবাড়ি নির্মান করে বসবাস করে আসছেন গত দুই বছর ধরে। ওই জমি নিয়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের সাথে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এদিন রাতে তার দুই বোন এবং বোন জামাতাসহ রাতের খাবার খেয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু গভীর রাতে টং ঘরের নিচে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এসময় ঘরের মাচায় আগুনের তাপ লেগে ঘুম ভেঙ্গে যায় তার বোন জামাতা পোথাউয়ের। পরে তিনি আগুনের শিখা দেখে দ্রুত ঘুমিয়ে থাকা স্বজনদের জাগিয়ে তোলেন। পরে তারা দরজা দিয়ে বের হতে চাইলে বাহির থেকে দরজা তালাবদ্ধ দেখতে পান। এসময় প্রান বাঁচাতে ডাকচিৎকার দিলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের অক্ষাতাবস্থায় উদ্ধার করেন। স্থানীয় বাসীন্দা নাসীর উদ্দিন জানান, রাত আড়াইটার দিকে কান্নাকাটি এবং চিৎকারে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায়। এসময় ঘরের বাইরে গিয়ে রাখাইনদের ঘরে আগুন দেখে ভয় পেয়ে যাই। এমনকি ঘরের মধ্যে মানুষের কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল।

অপর এক বাসীন্দা ফারুক হাওলাদার বলেন,চিৎকার শুনে টং ঘরের সামনে গিয়ে দেখি বাহির থেকে তালাবদ্ধ রয়েছে কিন্তু ভিতরে মানুষ আছে। পরে তালা ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করি এবং প্রতিবেশিরা পানি দিয়ে আগুন নিভাই। তবে ভুক্তভোগী পরিবারটির অভিযোগ আলোচিত রাকিব হত্যা মামলার আসামী রুবেল শিকদার লোকজন নিয়ে ঘটনারদিন বিকালে তাদের বিভিন্ন হুমকি প্রদান করেছেন। এমনকি স্থানীয় এক প্রভাশালী নেতাকে সাথে নিয়ে তাদের বসবাসকৃত জমিতে জোরপূর্বক গাছের চারা রোপন করেন।

এবিষয়ে তিনি কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে এবিষয়ে রুবেল শিকদারে সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি। কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম জানান, এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।