কলারোয়ায় গৃহবধুকে আটকে নির্যাতনের অভিযোগ শশুর ও দেবরের বিরুদ্ধে

কলারোয়ার বৈদ্যপুর গ্রামে গৃহবধুকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২ দিন ভোমরায় আটকে রেখেছে শশুর ও দেবরসহ একটি চক্র। গৃহবধু পাপিয়া দাশ (২৪) কৌশলে তার দাদাকে ফোন করায় তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন পাপিয়া দাশের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পাপিয়া দাশের স্বামী দুবাই থাকতেন। এই সুবাদে তার দেবর লিটন দাশ বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল এবং শশুর ও দেবর মিলে তার উপর নানান ষড়যন্ত্র শুরু করে। এক পর্যায়ে গত সোমবার পাপিয়ার শশুর মহিন্দ্রা দাশ ও দেবর স্বপন দাশ তাকে বলে তোমার স্বামী বর্তমানে ভারতে আছে। তুমি যেতে চাইলে আমাদের সাথে চলো। পাপিয়া সরল বিশ্বাসে তাদের সাথে যেতে রাজি হয়।

ভোমরা স্থল বন্দর এলাকা দিয়ে পাপিয়াকে হত্যা করার উদ্দ্যেশে ২ দিন একটি বাড়িতে আটকে রাখা হয় কিন্তু পার করতে পারিনি। এঘটনায় আরো জড়িত রয়েছে ভোমরার নবাবকাটি গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে শাহিনুর সরদার, সিরাজুল গাজীর ছেলে নূর মোহাম্মাদ ও আকবার গাজীর ছেলে সিরাজুল গাজী। এসময় পাপিয়া তাদের বলে আপনারা আমার স্বামীর সাথে কথা বলিয়ে দেন না হলে আমি এভাবে চোরাই ভাবে পার হতে পারবো না। এসময় তার শশুর ও দেবর মিলে তাকে মারধর ও চেতনানাশক ঔষধ খাওয়ায়ে রাখে। বুধবার সকালে পাপিয়ার জ্ঞান ফিরলে সে কৌশলে তার দাদাকে ফোন করে সবকিছু খুলে বলে এবং পারিবারিক লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এব্যাপারে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন অসহায় পরিবারটি।