কলারোয়ায় প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততায় শারদীয় দূর্গাপূজা উৎসবের আগমণী বার্তা

সনাতন ধর্মালম্বীদের বড় পার্বণ শারদীয়া দূর্গাপূজা আর ৯ দিন পরই উৎসবমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

পূজাকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার কলারোয়ার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরীতে মৃৎ শিল্পীরা দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

সরেজমিনে পৌরসভাধীন হরিতলা পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, প্রতিমা শিল্পী সঞ্জয় কুমার দাসসহ ২ জন পার্শ্ব মৃৎশিল্পী ঠাকুরের শরীরে বস্ত্র পরিধানে ব্যস্ত।

দিনরাত ব্যস্ততার কথা বলে মৃৎশিল্পী জানালেন, এ বছর তিনি ৩টি পূজামন্ডপে প্রতিমা তৈরীতে
চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। সাতক্ষীরা সদরের ছয়ঘরিয়া পূজা মন্ডপ, শার্শা উপজেলার নাভারন এলাকার নারানপুর পূজা মন্ডপ ও কলারোয়ার হরিতলা পূজা মন্ডপ। এ সকল পূজা মন্ডপে দিন-রাত নিরালসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন নিদৃষ্ট সময়ে প্রতিমাকে তোলার জন্য।
প্রতিমা তৈরীর শেষে ৩টি পূজা মন্ডপ থেকে তিনি সহ দুইজন পার্শ্ব মৃৎশিল্পী মোট ৭০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পাবেন বলে জানান।

তিনি আরও জানান, সকল প্রতিমা (ঠাকুর) তৈরীতে মাটির কাজ শেষে চলমান রংয়ের কাজের মধ্যে ঠাকুরের অঙ্গে বস্ত্র পরিধান করত: পূজার নির্ঘন্ট অনুযায়ী নিদৃষ্ট সময়ে সকল কাজ সম্পন্ন করা হবে। এমনিভাবে উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে প্রতিমা শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে জানা যায়।

আর এই মৃৎ শিল্পীদের কারুকাজ দেখতে বিভিন্ন মন্ডপে মন্ডপে বয়স্কদের সাথে সাথে কঁচিকাঁচাদের (শিশুদের) মধ্যে উৎসবের আনন্দ আমেজ লক্ষ্য করা যায়। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পূজারিদের মতে এ বছর নবরাত্রি শুরু হবে আগামী ৭ অক্টোবর এবং শেষ হবে ১৫ অক্টোবর।

সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, ৬ অক্টোবর(১৬ আশ্বিন) বুধবার মহালয়ার পর পরই দূর্গাপূজার পাঁচদিনের নির্ঘন্টে ১১ অক্টোবর(২৪ আাশ্বিন) সোমবার মহাষষ্ঠী পূজার পর মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী ও মহানবমী পূজা যজ্ঞ শেষে ১৫ অক্টোবর(২৮ আশ্বিন) শুক্রবার বিজয় দশমী ও দূর্গা বিসর্জন উৎসব। এ বছর কলারোয়া উপজেলা ব্যাপি ৪৪টি পূজা মন্ডপে মা দূর্গার আরাধনায় প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছে বলে জানা যায়।

উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার রায় জানান, পৌরসভায় ৮টি পূজা পূজা মন্ডপ ও উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে যথাক্রমে জয়নগরে ৬টি, জালালাবাদ ১টি, কয়লা ইউনিয়নে ২টি, লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নে ২টি, কেঁড়াগাছি ইউনিয়নে ৩টি, সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নে ২টি, চন্দনপুর ইউনিয়নে ৩টি, কেরালকাতা ইউনিয়নে ২টি, হেলাতলা ইউনিয়নে ৩টি, কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নে ৩টি, দেয়াড়া ইউনিয়নে ৫টি ও যুগিখালী ইউনিয়নে ৪টি পূজা মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে থানা প্রশাসন দেয়াড়ার পাটুলি এলাকার ২টি, জয়নগর ইউনিয়নে ২টি ও যুগিখালী ইউনিয়নের ওফাপুর এলাকার ১টি পূজা মন্ডপকে গুরুত্বপূর্ন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আসন্ন শারদীয়া দূর্গা পূজায় যাতে কোন ধরনের অশান্তি ও নাশকতামূলক ঘটনা না ঘটে সেজন্য উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন বলে জানা যায়।