কলারোয়ায় ৪৪টি মন্দিরে দূর্গা দেবীতে তুলির টানে রঙের ছোয়া

আগামী ৬ অক্টোবর বুধবার মহালয়ের মধ্যে দিয়ে মর্তলোকে মায়ের বাড়িতে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দূর্গা দেবীর পৃথিবীতে আগমন ঘটাবে এবং চলে যাবেন দুলাই চড়ে।
তাই সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডবে চলছে সাজ সাজ রব।

সনাতন ধর্মবিশ্বাসীদেও সবচেয় বড় ধর্শীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয় দেশের অন্য ধর্মের মানুষ এ উৎসবে অন্তভুক্ত হন নানাভাবে।

আগামী ১১ অক্টোবর ৬ষ্টী তিথিতে দেবীদূর্গার বোধন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ৫ দিনব্যাপি দূর্গোৎসব। আর মাত্র কয়টা দিন বাকী তাই সারা দেশের ন্যায় কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ, মন্দির এবং প্রতিমালয় গুলোতে চলছে দেবী প্রতিমা গড়ার তোলার রং তুলির আঁচড়ের ধুম।

অনেক আগেই উপজেলার ৪৪টি স্থানে দেবীর মূল অবয়ব গড়ে তোলা হয়েছে। এখন শেষ পর্যায়ে চলছে রং তুলির কাজ। মাটির প্রলেপ শেষে তাই মাতৃ রুপকে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে ফুটিয়ে তুলতে সবচেয়ে বেশি কষ্টকরতে হয় প্রতিমা শিল্পী বা ভাস্করকে।
কেননা পরম শ্রদ্ধা, আগ্রহ আর ভক্তিতে হাতের পরম আর তুলির আঁচড়ে মাটির মূর্ত হয়ে উঠেন দেবী। এখন বলা চলে গুরু দ্বায়িতের কারনে দম ফেলার ফুরাত নাই প্রতিমা কারিগরদের।

কলারোয়ার দেয়াড়া সাতক্ষীরা যাদব ঘোষ ডেয়ারীর মানসী সার্বজনীন পূজা মন্ডপ সহ পৌর সভার ৮টি পূজা মন্ডপে ঘুরে দেখা গেছে প্রতিমা নিমার্নে ব্যস্ত সময় পার করছে মৃৎশিল্পরা।

উপজেলার দেয়াড়া ঘোষপাড়া যাদব ঘোষ ডেয়ারীর মানসী দূর্গাপুজা মন্ডপে দেখা যায় এই বঙ্গের শ্রেষ্ঠ প্রতিমা শিল্পী চন্দন কুমার মন্ডল তার নরম হাতের রং তুলির আঁচড়ে মাটির মৃর্তকে পূনাঙ্গ দেবীতে রুপান্তর করেছে।

এ বছর কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নও পৌরসভায় মোট ৪৪টি স্থানে দূর্গোৎসব উৎযাপিত হবে। এর মধ্যে ৮টিতে কোন ঝুকি নেই। আর ১৫টি পূজা মন্ডপে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ২০টি পূজা মন্ডপে অধিক গুরুত্ব সাথে পালন করা হবে জানা যায়।
তবে সব চেয়ে গুরত্ব দিয়ে পালন করা হবে দেয়াড়া ঘোসপাড়া সমীরনে বাড়ী মানসী দূর্গাপূজা।

এবছর পৌর সভাসহ ৪৪ টি পূজামন্ডপের মধ্যে দেয়াড়া ঘোষপাড়া মানসী দূর্গা পূজা মন্ডপে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার বলে জানান দূর্গাপূজা মন্ডপ সভাপতি অর্জন পাল ও কোষাধ্যক্ষ প্রদীপ পাল।