কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের সময় ঘৃণ্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন ফলহারি মহারাজ!

ভণ্ডবাবা ফলহারি মহারাজ রাম রহিমের মতোই যৌনতায় আসক্ত। তিনি যৌন লালসা চরিতার্থ করতে নিজের ভক্তের কন্যাকেই বেছে নিয়েছিলেন।

রাম রহিমের পরে সামনে এসেছে রাজস্থানের এই ভণ্ডবাবার কর্মকাণ্ড। ৭০ বছর বয়স্ক স্বামী কৌশলেন্দ্র প্রপণ্যাচারী যিনি ফলাহারি নামেই অধিক পরিচিত। তার নামে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হতেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হয়ে পড়েন মহারাজ। তবে এর পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত খবরের সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ বছরের ওই তরুণী যে অভিযোগ করেছেন, তাতে ধর্ষণের রাতের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, সেই রাতে নিজের জিভে ওম লিখে ফলাহারি মহারাজ ওই তরুণীকে সেটি চেটে নিতে বলেন। মহারাজের দাবি ছিল, এ ভাবেই তিনি জ্ঞান বিতরণ করেন! তার পরই ওই তরুণীকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। এবং ধর্ষণ করেন।

তরুণী জানিয়েছেন, সেই সময় তাঁর মাথা একেবারে খালি হয়ে গিয়েছিল। মহারাজ বলে যাচ্ছিলেন, তিনি অনেক আইএএস, এইপিএস, এমএলএ তৈরি করেছেন। তিনি ওই তরুণীকেও ভবিষ্যতে বিচারপতি বানিয়ে দেবেন বলে দাবি জানান। কিন্তু তার বিনিময়ে তিনি কী পাবেন তা জানতে চান। তিনি এও বলেন, তিনি ওই তরুণী চাইলে তিনি তাঁকে সন্তান উপহার দিতে পারেন।

এর পরই দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ শুনেই হুঁশ ফেরে বাবাজির। ওই তরুণীর দাবি, এর পরই তিনি তাঁকে শাসিয়ে বলেন, মুখ খুললে ফল ভাল হবে না।

প্রসঙ্গত, ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরের বাসিন্দা ওই ছাত্রী জয়পুরের এক আইন কলেজের ছাত্রী। বাবাজির সুপারিশেই তিনি এক সিনিয়র আইনজীবীর অধীনে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পান। এর জন্য তাঁর মাসিক বেতন ৩ হাজার টাকা ধার্য হয়। ওই টাকা মহারাজের মন্দিরে দান করার সিদ্ধান্ত নেন তরুণী ও তাঁর পরিবার। সেই টাকা দিতেই তিনি ওই আশ্রমে যান। সেই রাতে তাকে ধর্ষণ করেন মহারাজ।