কাঁদলেন রিফাতের বাবা, বললেন আমার পুত্রবধূই ভিলেন
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের প্রধান সাক্ষী ও নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তার শ্বশুর আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ।
শনিবার রাত ৮টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অতি দ্রুত মিন্নিকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
তিনি বলেন, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি আগে নয়ন বন্ডকে বিয়ে করেছিল। ওই বিয়ে গোপন করে রিফাত শরীফকে বিয়ে করে মিন্নি।
বিষয়টি আমাদের জানায়নি মিন্নি এবং তার পরিবার। কাজেই রিফাত শরীফ হত্যার পেছনে মিন্নির মদদ রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনলে সব বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন রিফাতের বাবা। বলেন, আসলে আমার পুত্রবধূই ভিলেন। তার সহযোগিতায় আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রিফাতের সঙ্গে বিয়ের পরও মিন্নি নয়নের বাসায় যাওয়া-আসা করতো। নিয়মিতভাবে নয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করতো সে। ইতোমধ্যে নয়ন বন্ডের মা একাধিক সংবাদমাধ্যমকে এ বিষয়ে আরও অনেক তথ্য দিয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। মিন্নির আগের বিয়ের কথা পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন নয়নের মা।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ প্রশ্ন রেখে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফুটেজে দেখা যায়, আসামীরা মিন্নির ওপর চড়াও হয়নি এবং মিন্নি কোনোভাবে আক্রান্ত হয়নি। কেন মিন্নি আক্রান্ত হয়নি?
তিনি মনে করেন, মিন্নি তার স্বামীকে রক্ষা করতে হামলাকারীদের প্রতিরোধের চেষ্টা না করে, রিফাতকে যদি জড়িয়ে ধরত তাহলে তার ছেলে নির্মম হত্যার শিকার হতো না।
সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে দিচ্ছেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি নিজের উপলদ্ধি থেকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়েছেন।
রিফাত হত্যা মামলার প্রধান স্বাক্ষি মিন্নিকে অভিযুক্ত করায় মামলার ক্ষতি হবে কি না প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের আগের দিনও খুনি সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ডের বাসায় গিয়েছিলেন আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।
সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত নয়ন বন্ডের মা শাহিদা বেগম।
তিনি বলেন, রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ২৬ জুন (বুধবার)। এর আগের দিন মঙ্গলবারও মিন্নি আমাদের বাসায় এসে নয়নের সঙ্গে দেখা করে।
নয়ন বন্ডের মা আরও বলেন, শুধু হত্যাকাণ্ডের আগের দিন মঙ্গলবারই নয়; রিফাত শরীফের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পরও মিন্নি নিয়মিত আমাদের বাসায় এসে নয়নের সঙ্গে দেখা করত। মোটরসাইকেলে মিন্নিকে রিফাত শরীফ কলেজে নামিয়ে দিয়ে চলে যেত। এরপর মিন্নি আমাদের বাসায় চলে আসত। আবার কলেজের ক্লাস শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে মিন্নি আমাদের বাসা থেকে বের হয়ে কলেজে যেত।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন