কাতারে মসজিদের সৌন্দর্য দেখতে ভিন্নধর্মী মানুষেরও ভিড়

বিশ্বকাপ উপলক্ষে কাতারের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ও মসজিদগুলোকে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলেছে দেশটির প্রশাসন। রং-বেরংয়ের মার্বেল পাথর ও নান্দনিক নকশায় সজ্জিত মসজিদগুলো দেখতে ভিড় করছেন খেলা দেখতে আসা দর্শকরা। এর মধ্যে আছেন ভিন্নধর্মাবলম্বীরাও। মুসলিম সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত সবাই।

নান্দনিক কারুকার্য খচিত স্থাপনা। এর ভেতর কিংবা বাহির, চারিদিক সজ্জিত। নানা রংয়ের পাথর আর দারুণ স্থাপত্যশিল্পের মিশেলে দণ্ডায়মান এক একটি মসজিদ। যেগুলোর ভেতর থেকে ভেসে আসছে আজানের সুমধুর ধ্বনি। যে স্থানটি মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে সবচেয়ে প্রশান্তির জায়গা।

মুসলিম ঐতিহ্য সমৃদ্ধ দেশ কাতার। বিশ্বকাপের জন্য অবকাঠামোগত পরিবর্তনে নতুনভাবে সেজে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। সে সঙ্গে নতুনরূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে কাতারের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী মসজিদ ও স্থাপনাসমূহ। নান্দনিক এ স্থাপনাসমূহ দৃষ্টি কাড়ছে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা দর্শকদের।

মসজিদগুলোর গায়ে সোনালি হরফে লেখা নানা কথা। নীল রংয়ের পাথরে সজ্জিত একটি মসজিদে চলছে নামাজ, চলছে প্রার্থনা। নিয়মিত আনাগোনা চলছে মুসল্লিদের। মুয়াজ্জিনের আযান শুনে ছুটে আসছেন দূর-দূরান্তের মানুষ।

কাতারের মূল আকর্ষণ এ মসজিদগুলোতে আসছেন ভিন্নধর্মী মানুষও। এগুলোর সৌন্দর্য উপভোগে খোদ আর্জেন্টিনা থেকে আগত দর্শকরাও জমায়েত হচ্ছেন সেখানে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশ্বকাপে আগত দর্শকরা শুধু ম্যাচগুলো উপভোগ করছেন না; সঙ্গে কাতারের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি সম্পর্কেও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে বেশ আগ্রহী। নিল মসজিদ অথবা কাতারা মসজিদটির সৌন্দর্য দেখতে অনেক মানুষ এখানে আসছেন। সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি এখানে এসে মানুষ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও আদায় করছেন।

কাতারের এসব ঐতিহ্যবাহী মসজিদ ও স্থাপনাগুলো দেখতে এসে মুসলিম সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছেন অন্য ধর্মের মানুষজনও।

এক আর্জেন্টাইন বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমি বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে জানতে খুবই আগ্রহী। কাতারে আমার পরিবারের সঙ্গে খেলা দেখতে এসে আমি খুব উপভোগ করছি এখানকার মানুষের ধর্মীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পেরে। আমি যখন এ মসজিদটিতে প্রবেশ করেছি আমি খুবই স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ বোধ করেছি।

আরেকজন বলেন, ‘বিশ্বকাপ আসলে শুধু খেলা উপভোগের কোনো ইভেন্ট না, এখানে এসে আমরা ভিন্ন সংস্কৃতি এবং এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা সম্পর্কেও জানতে পারছি। যা আমাকে খুবই আনন্দ দিচ্ছে।’