কাতার ইস্যুতে সৌদি বাদশাহর সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপ

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজকে ফোন করে কাতারের বিরুদ্ধে আরব উপসাগরীয় ঐক্য ধরে রাখার তাগাদা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় বাড়তে থাকা দ্বন্দ্বে সবাইকে এক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ‘তার (ট্রাম্পের) বার্তা ছিল যে, চরমপন্থি মতাদর্শ এবং জঙ্গি অর্থায়নের সঙ্গে লড়তে উপসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের একতা দরকার।’

জঙ্গিবাদ সমর্থন এবং জঙ্গিদের মদদ দানের অভিযোগ তুলে সোমবার কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। পরে ওইদিনই মালদ্বীপ এবং ইয়েমেনও কাতারের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেয়।

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার ট্রাম্প কাতারকে এভাবে বিচ্ছিন্ন করার কৃতিত্ব দাবি করেন। জনপ্রিয় সোশ্যাল মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ সমর্থনকারী কাতারকে আলাদা করার মধ্য দিয়ে তার সৌদি আরব সফরের সফলতা আসতে শুরু করেছে।

সম্প্রতি সৌদি আরব সফরে ডোনাল্ড ট্রাম্প মৌলবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এর দুই সপ্তাহ পরেই সোমবার জঙ্গিবাদ সমর্থন করে উপসাগরীয় অঞ্চল অস্থিতিশীল করার অভিযোগে সৌদি আরবসহ ৬টি দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয়।

ট্রাম্প তার টুইটবার্তায় বলেন, সৌদিসহ ৬ দেশের এ সিদ্ধান্ত ‘জঙ্গিবাদের ভয়াবহতার সমাপ্তির শুরু’র পরিচায়ক হয়ে উঠতে পারে।

গত মে মাসেই আরব ইসলামিক আমেরিকান সম্মেলনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

অথচ মঙ্গলবার তার দেশের বিরুদ্ধেই জঙ্গিবাদে মদদ দেয়ার অভিযোগ আনলেন তিনি।

তবে কাতার মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ সমর্থনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। চলমান পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতা করতে কাজ করছেন কুয়েতের আমির সাবাহ আল-আহমাদ আল-সাবাহ।

এছাড়া তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সম্পর্কচ্ছেদ এবং নিষেধাজ্ঞা জঙ্গিবাদ সঙ্কটের সমাধান নয়।