কাতার সংকট : সৌদি যুবরাজ ও কাতারের আমিরের ফোনালাপ

সৌদি জোট ও কাতারের মধ্যে চলমান সংকট নিরসনে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ফোন করেছেন কাতারের আমির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি।

গত প্রায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলা ‘কাতার সংকট’ মেটাতে কার্যত সৌদি আরবের মূল ক্ষমতাধর যুবরাজ সালমানের সঙ্গে কথা বলেন কাতারের আমির।

সৌদির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি ও আল জাজিরা।

বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতার সংকট সমাধানে আগ্রহ দেখানোর একদিন না যেতেই শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যের র্শীষ দুই ধনী দেশের দুই নেতা নিজেদের মধ্যে কথা বলেন।

এসপিএর খবরে বলা হয়, ফোনালাপে কাতারের আমির সংকট নিরসনে তার দেশের আগ্রহের কথা জানান। এজন্য সৌদি আরব এবং তার প্রতিবেশী তিন দেশ বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশরের দাবি নিয়েও আলোচনায় আগ্রহের কথা জানান।

সৌদি সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সৌদির মিত্র তিন দেশের সঙ্গে আলোচনা শেষে সমঝোতায় পৌঁছালে দুই নেতার আলাপের বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে সৌদি আরব।

সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব ও অপর তিন দেশ। পরে দেশগুলো কাতারের ওপর স্থল সীমান্ত, নৌপথ ও আকাশপথে অবরোধ আরোপ করে।

এ নিয়ে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি। অবরোধের প্রেক্ষিতে খাদ্য সংকট সামাল ও বিরোধ নিরসনে কাতারের পাশে দাঁড়ায় তুরস্ক। একপর্যায়ে কাতারকে ১৩টি শর্ত জুড়ে দেয় সৌদি জোট।

তবে কাতার শুরু থেকেই সৌদি জোটের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছিল। তারা আলোচনায় আগ্রহ দেখালেও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হয় এমন কোনো শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানায়।

পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হতে থাকায় মধ্যস্ততাকারী হিসেবে এগিয়ে আসেন কুয়েতের আমির আমির শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ।

গতকাল ৮ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন কুয়েতের আমির। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প কাতার সংকট নিরসনে মধ্যস্ততা করতে আগ্রহ দেখান। এর একদিন পরই সৌদি যুবরাজকে ফোন করেন কাতারের আমির।