কানাডার বিদায়, আশা বাঁচিয়ে রাখল ক্রোয়েশিয়া

ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হচ্ছে কানাডাকে। অন্যদিকে নিজেদের প্রথম জয়ে শেষ ষোলোয় খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল ক্রোয়েশিয়া।

প্রথম ম্যাচে ভালো খেলেও বেলজিয়ামের কাছে কানাডাকে হারতে হয়েছিল ১-০ গোলে। ২৭ নভেম্বর রোববার ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৪-১ গোলে হারের পর বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে দলটির। অন্যদিকে হাফ ছেড়ে বাঁচল ক্রোয়েশিয়া। প্রথম ম্যাচে মরক্কোর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে বিপাকে পড়ে যায় জলাকতো দালিচের দল।

কাতারের খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই দলই একটি করে পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে। কিন্তু কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই কাতার বিশ্বকাপের সবচেয়ে দ্রুততম সময়ের গোলটি করে বসেন কানাডার বায়ার্ন তারকা আলফোনসো ডেভিস। ম্যাচের মাত্র দুই মিনিটের মাথায় বুকানানের ক্রস থেকে হেডে দারুণ গোল করে বিশ্বকাপে কানাডাকে প্রথমবারের মতো এগিয়ে দেন।

এক গোলে পিছিয়ে ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে আগের ম্যাচেই মরক্কোর সেঙ্গে ড্র করা ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ২৬ মিনিটে লিভায়া গোল করলে সেটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। ৩৫ মিনিটে আবারো সুযোগ পান লিভায়া। তবে এবার তার শট রুখে দেন কানাডার গোলরক্ষক বোরয়ান।

এর ঠিক ১ মিনিট পরই সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া। এবার বাম পাশ থেকে পেরেসিচের দারুণ ক্রসে কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম গোলটি করেন ক্রামারিচ। টানা দুই বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে গোল করা তৃতীয় ফুটবলার হলেন তিনি।
বিরতির ঠিক এক মিনিট আগে কাঙ্ক্ষিত লিড পায় ক্রোয়েশিয়া। ইউরানোভিচের পাস থেকে ডিবক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত ডান পায়ের শটে গোল করে দলকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন লিভায়া। এই গোলের ফলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আগেরবারের ফাইনালিস্টরা।

বিরতির পর আরো আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন মদ্রিচরা। মাঝমাঠ দখল নিয়ে কানাডার ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকেন তারা। ৫৪ মিনিটে লিভাকোভিচের দুর্দান্ত শট রুখে দেন কানাডার গোলরক্ষক। এর ঠিক পরের মিনিটে আবারো সেই কানাডার গোলরক্ষক দেয়াল হয়ে দাঁড়ান মদ্রিচদের সামনে। মদ্রিচের বাড়ানো বলে ক্রামারিচের শট রুখে দেন তিনি।

ম্যাচের ৭০ মিনিটে বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান ক্রামারিচ। আবারো সেই পেরেসিচের বাড়ানো বলে ডি বক্সের ভেতর থেকে শট করে দলকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তিনি।

খেলা শেষ হওয়ার ২ মিনিট আগে কানাডার ডিফেন্ডারের ভুলে ফাঁকা মাঠে বল পেয়ে ডিবক্সের সামান্য ভেতরে মায়েরের কাছে বল পাঠালে তিনি সেটিকে গোলে পরিণত করেন। ৪-১ ব্যবধানের বিশাল জয়ে গ্রুপের শীর্ষে উঠে এল ক্রোয়েশিয়া।