কাশ্মীরের ওপর দিয়ে চীন-পাকিস্তানের বাস সেবা

পাকিস্তানের অংশভুক্ত আজাদ কাশ্মীরের ওপর দিয়ে অর্থনৈতিক করিডরের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে চীন। ভারতের প্রতিবাদ কানে তোলেনি পাকিস্তান, চীনও অনুরোধে সাড়া দেয়নি।

এ নিয়ে দীর্ঘ টানাপড়েন চলে আসছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। তবে এবার আরও এক পা এগিয়েছে ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ। এবার ওই করিডরের ওপর দিয়ে নিজেদের মধ্যে বাস পরিষেবা চালু করতে চলেছে তারা।

পাকিস্তানের সরকারি সংবাদমাধ্যমে সোমবার বিষয়টি সামনে এসেছে। তার পরই নড়েচড়ে বসেছে নয়াদিল্লি।

কাশ্মীরের ওপর দিয়ে বাস পরিষেবা চালু করা যাবে না বলে ইসলামাবাদ ও বেইজিংয়ের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ওপর দিয়ে বাস পরিষেবার তীব্র প্রতিবাদ করছি আমরা। তথাকথিত ওই করিডরের ওপর দিয়ে তো নয়ই। ইসলামাবাদ ও বেইজিংকে ইতিমধ্যে তা জানিয়েছি আমরা।

ভারত যে নিজের অবস্থান থেকে একচুলও নড়বে না, তাও নিশ্চিত করেছেন তিনি। ১৯৬৩ সালের চীন-পাকিস্তানের মধ্যে একটি সীমান্ত চুক্তি হয়। যার আওতায় পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সংযোগ গড়ে তুলতে উত্তর কাশ্মীর ও লাদাখের কিছুটা জায়গা ছেড়ে দেয় চীন।

রবিশ কুমার বলেন, ভারত সরকারের অবস্থানের কথা কারও অজানা নয়। চীন-পাকিস্তানের ওই সীমান্ত চুক্তি একেবারে বেআইনি ও অবৈধ। ভারত সরকার কোনো দিনই সেটিকে বৈধতা দেয়নি। তাই পাক কাশ্মীরের ওপর দিয়ে বাস পরিষেবা চালু করলে আমাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা হয়।

চলতি সপ্তাহের শনিবার থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ওপর দিয়ে চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে বাস পরিষেবা চালু হবে।

একটি বেসরকারি পরিবহন সংস্থা তার দায়িত্বে রয়েছে। তারা জানিয়েছে, আপাতত লাহোর থেকে পাক কাশ্মীর হয়ে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় পর্যন্ত সপ্তাহে চার দিন ছুটবে বাস। ইতিমধ্যে টিকিট বুকিংও নাকি শুরু হয়ে গেছে।