কুমিল্লার মুরাদনগরে স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও নির্মান হয়নি শহীদ মিনার

কুমিল্লার মুরাদনগরে স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হলেও বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলনের শহীদ মিনার এখনো নির্মান হয়নি।

প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনে শহিদের স্মরণে উপজেলা প্রশাসন সহ রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সামাজিক সংগঠন পুষ্পস্তবক ও ফুল দেয় একটি শহিদ স্মৃতিস্তম্বে।

প্রতিবছর ভাষার মাস আসলে শহিদ মিনারগুলো ব্যাতিক্রম নানা রঙ্গ বেরঙে সাজলেও মুরাদনগরে নেই কোন ব্যাতিক্রম আয়োজন। এক তো শহিদ মিনার নেই তারপর শহিদের স্মরণে যে স্মৃতিস্তম্বে ২১শে ফেব্রুয়ারি উপজেলা প্রশাসন সহ যে সংগঠনগুলো ফুল দেয় সেই স্মৃতিস্তম্বের অবস্থা বেহাল। এ নিয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ সচেতন মহলে চলছে নানা সমালোচনা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুরাদনগর সদরের ডি আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অরক্ষিতভাবে পড়ে আছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। পাশেই ময়লা আর্বজনা প্লাস্টিকের বোতল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। তাছাড়া এই স্মৃতিস্তম্ভের পাশে ডি আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিত্যাক্ত ভবন থাকায় বিভিন্ন মানুষজন এখানে করছেন মলমূত্র ত্যাগ। দূর্গন্ধের কারনে স্মৃতিস্তম্বের পাশে যেতে পারে না সাধারন মানুষ। সাধারন মানুষের দাবি অচিরেই যেন সু-রক্ষিত বাউন্ডারি তৈরি করে এখানে নির্মান করা হয় মুরাদনগর উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার।

মুরাদনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন অর-রশিদ বলেন, আমরা প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারিতে ডি আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্মিত স্মৃতিস্তম্বে ফুল দেই। মুরাদনগর উপজেলায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার নেই। শহিদ মিনার নির্মানের ব্যাপারে কেহ ভাবে না। আগামী উপজেলার মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে শহিদ মিনার নিয়ে কথা বলব। আমরাও চাই কেন্দ্রীয়ভাবে যেন মুরাদনগর একটি শহিদ মিনার নির্মান করা হয়।

মুরাদনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি মো: হানিফ বলেন, মুরাদনগরে একটি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার নেই যা আসলে দু:খজনক। আমি আমাদের এমপি মহোদয়ের নিকট শহিদ মিনার যেন দ্রুত নির্মান করা হয় এ ব্যাপারে কথা বলব।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনী বলেন, আমি এ উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। আমি স্মৃতিস্তম্বটি পরিদর্শন করে ভাস্কর হামিদুর রহমানের ডিজাইন অনুযায়ি শহিদ মিনার দ্রুত নির্মানে পদক্ষেপ গ্রহন করব।