কুমিল্লায় ১৬৯ জনপ্রতিনিধি ও ৭৭ গ্রাম পুলিশের বেতনভাতা বন্ধ!

কয়েক মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের ১৬৯ জনপ্রতিনিধি ও ৭৭ জন গ্রাম পুলিশ।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মনজুরুল হক ইচ্ছাকৃতভাবে এ বেতন-ভাতা বন্ধ রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত উপজেলার তে­রোটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্যসহ ১৬৯জন জনপ্রতিনিধির বেতন বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ৭৭ জন গ্রামপুলিশের বেতন ভাতা বন্ধ রেখেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এর মধ্যে অনেক ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য এবারের নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেননি। তারাও এ সম্মানী ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

গ্রামপুলিশের নারী সদস্য আনোয়ারা ও রুবিয়া বেগম বলেন, ‘গত তিন মাস আমরা বেতন ভাতা পাচ্ছি না। এতে করে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।’

১০ নম্বর বাতিসা ইউপির চেয়ারম্যান জিএম জাহিদ হোসেন টিপু বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানসহ অনেক সদস্য সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসতে পারেননি। কিন্তু গত চার মাস ধরে আমাদের সম্মানী ভাতা বন্ধ রেখেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।’

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি আলকরা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হেলাল বলেন, ‘জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম পরিপূর্ণ সফল না হওয়ায় বেতন ভাতা বন্ধ করা হয়েছে। এভাবে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম শতভাগ সফল করার আইন আছে কিনা আমার জানা নেই। অনেক গ্রাম পুলিশ তাদের কষ্টের কথা আমার কাছে বলেছেন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মনজুরুল হক বলেন, ‘শূন্য থেকে ৪৫ দিন বয়সী শিশুদের জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম সফল করা জনপ্রতিনিধি ও গ্রামপুলিশদের দায়িত্ব। তাঁরা এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় বেতন ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে আগামী মাস থেকে যথারীতি বেতন ভাতা দেওয়া হবে।’