কুরবানীর পশুর রক্তের বিনিময়ে গুনাহ ক্ষমা করা হবে

সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য।সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম রাসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দরুদ শরীফ ও সালাম।

কুরবানীদাতা উনার ফযীলত কুরবানীর পশুর রক্তের বিনিময়ে গুনাহ সমূহ ক্ষমা করা হবে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, অর্থঃপবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিনে বান্দার পবিত্র কুরবানী উনার পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার পূর্বেই মহান আল্লাহ পাক তার গুণাহ মাফ করে দেন।”

সুবহানাল্লাহ!পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এ ব্যাপারে আরো বর্ণিত রয়েছে-অর্থ :“হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম! আপনি আপনার কুরবানী উনার পশুর কাছে চলুন এবং সেখানে (কুরবানী উনার সময়) উপস্থিত থাকুন। নিশ্চয়ই পশুর প্রত্যেক ফোঁটা রক্তের বিনিময়ে আপনার বিগত জীবনের গুণাহ ক্ষমা করা হবে।

তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এই কুরবানী উনার ফযীলত কি শুধু আমাদের এবং হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের জন্য? নাকি আমাদের জন্য এবং সমস্ত মু’মিন মুসলমান উনাদের জন্য। জাওয়াবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হ্যাঁ, আমাদের জন্য এবং সমস্ত মু’মিন মুসলমান উনাদেরও জন্য।(দলীল):(হাকিম ৪/২২২, বাযযার ২/৫৯, কাশফুল আসতার ১/৪৫৭)।