শিক্ষা অফিসারের দায়িত্বে প্রধান শিক্ষক

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল অবস্থা

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে জনবল সংকটের কারণে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে এ দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

ঐ পত্রে বলা হয়েছে, “কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার উপজেলা শিক্ষা অফিসের উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসারের পদ শূন্য থাকায় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কুড়িগ্রাম মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক অত্রাফিসের সামগ্রিক কার্যাবলী সুষ্ঠ ও যথাযথভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পাটেশ্বরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইফুর রহমানকে উপজেলা শিক্ষা অফিসে সার্বক্ষণিক সার্বিক সহায়তা এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের সাথে পরামর্শক্রমে কার্য সম্পাদনের জন্য ডেপুটেশন প্রদান করা হলো।”

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ১১২ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ৪টি ক্লাস্টারে ভাগ করা হয়েছে। ৪ ক্লাস্টারে ৪ জন উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা কথা। কিন্ত দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তার দুটি পদ শূন্য রয়েছে। আবুল কালাম নামে একজন উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা ২য় স্ত্রীর করা মামলায় জেলে আটক হন। পরে জেল থেকে জামিনে মুক্তি পাবার পর প্রায় ৪ মাস থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। ঐ অফিসারের বেতন বিল বন্ধ করা হলেও অজ্ঞাত কারনে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়নি। জাকির হোসেন নামে একজন উপজেলা সহকারি শিক্ষাকর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করলেও তিনি অন্যত্র বদলি হয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২২ তারিখে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেন।

অপরদিকে কর্মচারিদের ৫ পদের বিপরীতে রয়েছে মাত্র ২জন। এর ফলে অফিসিয়াল বিভিন্ন কাজকর্মে অফিসে আসা শিক্ষকদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। অন্যদিকে উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় বিদ্যালয় গুলোর পরিদর্শন বন্ধ রয়েছে। এতে গোটা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা ব‍্যবস্থায় চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, তিনি প্যরালাইসিস রোগে আক্রান্ত। মাসে একবার অফিসে এসে বেতনবিলে স্বাক্ষর করেন। অধসলে তিনি চাননা কোন সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এখানে আসুক। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মার সাথে যোযোগ করা হলে তিনি বলেন,অধমি যতটুকু জানি বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও মিটিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে তা সাময়িকভাবে।

এব্যাপারে, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান জানান, আমার বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার ক্ষতি করে উপজেলা শিক্ষা অফিসের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার অসুস্থ তিনি ছুটিতে রয়েছেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জ্যোতির্ময় চন্দ্র সরকারকে অফিসে না পাওয়ায় মোবাইলে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।