সংবিধানের আলোকে কোটা সংস্কারের ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।

সোমবার বিকাল ৪টায় ঢাবি শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভা থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। সভায় মধ্যরাতে ঢাবি উপাচার্য ভবনে বর্বরোচিত হামলা, ভাঙচুর এবং সপরিবারে উপাচার্যকে হত্যার অপ্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। একই সঙ্গে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান তারা।

এ ছাড়া সভায় যে সকল শিক্ষার্থী কোটা সংস্কারের আন্দোলনে আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি জ্ঞাপন করে বিশবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় সুচিকিৎসার ব্যবস্থার দাবিও জানানো হয়।

এ সময় তিনদিনের কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষক সমিতি। কর্মসূচির মধ্যে আছে- মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানবন্ধন এবং বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত সিনেট ভবনে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমবেদনা জ্ঞাপন। বুধবার ঢাবি পরিবারের সব সদস্য, দেশের সব গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ঢাবি এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনসমূহের সদস্যদের উপাচার্য ভবনে সংগঠিত
তাণ্ডবলীলা প্রত্যক্ষ করার ব্যবস্থা গ্রহণ।

১২ এপ্রিল দুপুর ১২ থেকে ১টা পর্যন্ত অফিসসমূহে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি এবং শিক্ষকরা কালোব্যাজ ধারণ করে শ্রেণিকক্ষে উপাচার্য ভবনে তাণ্ডবলীলার ভয়াবহতা বর্ণনা করবেন।

এছাড়া সভায় সিদ্ধান্তসমূহের মধ্যে ছিল- ভিসি ভবনসহ প্রশাসনিক এবং আবাসিক এলাকাসমূহের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানানো হয়।