কোন দিকে যাচ্ছে সিক্কিম পরিস্থিতি?

সিক্কিমের ডোকলাম এলাকায় ভারতীয় সৈন্যের সীমালঙ্ঘন একেবারেই অনুচিত এবং রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একপেষে নীতিমালা গ্রহণ করা ঠিক হবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছে চীন। শিগগিরই নয়া দিল্লিকে সেখান থেকে তাদের সৈন্য সরিয়ে নেয়ার জন্য হুঁশিয়ারি চীন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের এরকম আচরণের কারণে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনো ব্রিফিং দেয়া হয়নি।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কাং বলেন, ভারতীয় সৈন্যের অবৈধ সীমালঙ্ঘনের কারণে চীনে অবস্থান করা বিদেশি অনেক কূটনীতিকরা বিস্মিত হয়েছেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই ইস্যু নিয়ে চীনের পক্ষ থেকে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদেশি কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, চীনের ওই হুঁশিয়ারির পর কূটনীতিকদের অনুরোধে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বিদেশি দূতাবাসগুলোকে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে ভারত।

ভুটান সীমান্তে গত একমাস ধরে রাস্তা তৈরির কাজ করছে চীন। ওই রাস্তা নির্মাণের ফলে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারত। চীনের গণমাধ্যমে বলা হয়, রাস্তা তৈরির কারণ একেবারে স্পষ্ট। ভারতের সেনাবাহিনী সিক্কিম সেক্টরে অবৈধ সীমালঙ্ঘন করেছে।

প্রায় এক মাস ধরে সিক্কিমে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে ভারত-চীনের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সীমান্ত বিরোধ নিয়ে ভারতের সঙ্গে ধৈর্যের বাধ ভেঙে যাচ্ছে বলে বেইজিংয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের জানিয়ে দিয়েছে চীন।

এর আগে গত জুনের শুরুতে চীনের ওই সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। এরপর এই সড়ক নির্মাণ কাজে বাধা দেয়ার জন্য ভারতে কড়া মাশুল গুণতে হবে বলে হুঁশিয়ারি এসেছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ও সরকারি মুখপাত্রদের কাছে থেকে। দুই দেশের সীমান্তে অতিরিক্ত সৈন্য সমাবেশ ঘটানো হয়েছে।

উত্তেজনা এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যে চীনের রাষ্ট্রীয় দৈনিক গ্লোবাল টাইমস অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। বেইজিংয়ের এই দৈনিক চলতি মাসে এক প্রতিবেদনে বলছে, ১৯৬২ সালে চীনা ভূখণ্ডে অতর্কিত ভারতীয় হামলার কারণে চীন-ভারত যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। এতে অন্তত ৭২২ চীনা সৈন্য ও ৪ হাজার ৩৮৩ ভারতীয় সৈন্যের প্রাণহানি ঘটে।