খাগড়াছড়ির গণপূর্ত প্রকৌশল বিভাগে চলছে অর্থ আত্মসাতের মহোৎসব

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার গণপূর্ত প্রকৌশল বিভাগে চলছে অর্থ আত্মসাতের মহোৎসবের। সরকারি বিভিন্ন অধিদপ্তরের উন্নয়ন মূলক কর্মাকান্ড গ্রহন করে থাকেন খাগড়াছড়ি গণপূর্ত বিভাগ। জুন ফাইনাল, তাই ঘুম নেই ঐ দপ্তরের কর্মকর্তা—কর্মচারীদের।

সরকারি অর্থ তছরূপের মহোৎসব চলছে। নাম মাত্র টেন্ডার করে সরকারি অর্থ লুটপাট করা হচ্ছে। ৬/৭মাস আগে পছন্দের ব্যক্তিকে দিয়ে কাজ করিয়ে রেখে বৈধতার জন্য তাড়াহুড়া করে টেন্ডার দিয়ে ঠিকাদারদের মধ্যে বাঁধানো হয়েছে বিরোধ। যার কারণে অনেক ঠিকাদার কাজ পেলেও করতে পারছে না। এ নিয়ে খাগড়াছড়ি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আনোয়ারুল আজিমের সাফ কথা, তিনি বাধ্য হয়ে এমনটি করছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, স¤প্রতি খাগড়াছড়ি গণপূর্ত বিভাগ একাধিক গ্রুুপের টেন্ডার আহবান করে। ঠিকাদার নজরুল ইসলাম ১৩গ্রুুপের সিডিউল কিনে ড্রপ করেন। একটি গ্রুুপের কাজ পান নজরুল ইসলাম। টেন্ডার কাজটি ছিল প্রায় ৮লাখ টাকার জেলা ও দায়রা জজের অফিস সংস্কার। কিন্তুু আরো একজন ঠিকাদার দাবি করেন, তিনি এই কাজটি আরো ৬মাস আগে প্রায় ৪০ভাগ সম্পন্ন করেছেন। এ নিয়ে দুই ঠিকাদারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে নজরুল ইসলাম দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে কাজটি সেরে দেন। শুধু নজরুল ইসলাম নয়, এর আগে কাজ করিয়ে টেন্ডার আহবান করার কারণে আরো একাধিক ঠিকাদারের একই ধরনের ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে। এ হলো একটি মাত্র উদাহরণ । এ ধরনের অহরহ ঘটনা আরো রয়েছে।

খোদ খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া অভিযোগ করেন, তিনি স্ত্রীর সুবাধে যে সরকারি বাসায় থাকেন, তা সংস্কারের জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তুু ঠিকাদার ঐ ভবনের সামনের অংশে চুন দিয়ে চলে যায়। ভবনের পিছনসহ আরো তিন অংশে কিংবা ভিতরে কোন কাজ করেনি।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আনোয়ারুল আজিমের মুখোমুখি হলে তিনি বলেন, খাগড়াছড়ি থেকে কোন কর্মকর্তা বদলি হয়ে গেলে বা কোন নতুন কর্মকর্তা আসলে ঐ বাসাটি কোন না কোন ঠিকাদারকে দিয়ে সংস্কার করে দিতে হয়। পরবর্তীতে জুন মাসে এসে টেন্ডারের মাধ্যমে সমন্বয় করে নিতে হয়। এছাড়া আমার কাছে আর কোন উপায় নাই।

অভিযোগ রয়েছে, শুধু খাগড়াছড়ি গণপূর্ত অফিস নয়, জুন মাসে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও খাগড়াছড়ির সব সরকারি দপ্তরেই এমনটি চলছে, গত অর্থ বছরে বেঁচে যাওয়া অর্থ সরকারের দপ্তরে ফেরত না দিয়ে নয়—ছয় করে আত্মসাত করার মহোৎসব চলছে।
তবে দেখার যেন কেউ নেই। জুন ফাইনালে খাগড়াছড়ি গণপূর্ত বিভাগের দুর্নীতি ও অনিয়ম বিষয়ে সঠিকভাবে তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে এমন দাবি সচেতন মহলের।