খালেদা জিয়ার জামিন ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ আগামী ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের (লিভ টু আপিল) ওপর শুনানি শেষ করে সোমবার এ আদেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ।

আপিলের বিষয়ে গতকাল শুনানি শেষ হওয়ার পর আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল।

সোমবার আদালত প্রথমে আদেশে বলেছিলেন, ২২ মে পর্যন্ত খালেদার জামিন স্থগিত। সে অনুযায়ী টেলিভিশনগুলো স্ক্রলও দেয়, খবর আসে অনলাইন গণমাধ্যমগুলোতে। কিছুক্ষণ পর আদালত আদেশ ‘মোডিফাই’ করে ৮ মে পর্যন্ত জামিন স্থগিত করেন।

আদালতে আজ খালেদার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রফিকুল হক, দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম।

২২ মে পর্যন্ত জামিন আদেশ স্থগিতের পাশাপাশি দুই সপ্তাহের মধ্যে উভয়পক্ষকে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

৮ ফেব্রুয়ারি কারাদণ্ডের রায়ের পর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারারসন খালেদা জিয়া।

নিম্ন আদালত থেকে ওই মামলার নথি হাইকোর্টে আসার পর তা দেখে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১২ মার্চ খালেদার চার মাসের অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেন। সঙ্গে সঙ্গে তার আপিল শুনানির জন্য ওই সময়ের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে পেপারবুক প্রস্তুত করারও নির্দেশ দেন।

তবে ১৪ মার্চ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন রোববার (১৮ মার্চ) পর্যন্ত স্থগিত করেন।

এরপর ১৫ মার্চ ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।