খালেদা জিয়ার মুক্তি পেতে বাধা আরও দুই মামলা

মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়ার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

এ নিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৩৬টি মামলার মধ্যে ৩৪টি মামলায় জামিন পেলেন। এখন আরও দুটি মামলায় জামিনের জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ কামরুল হাসান খান (আসলাম)।

২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।

মামলায় বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় খালেদা জিয়ার ওই বক্তব্য দেন। ‘খালেদা জিয়ার ওই বক্তব্য পরদিন বিভিন্ন জাতীয় পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। যেহেতু ওই বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ করে ও স্বাধীনতাযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, যা দণ্ডবিধি ৫০০ ধারার অপরাধ’।

কায়সার কামাল বলেন, “ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত গত ৭ অগাস্ট এ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করলে সোমবার হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আজ শুনানি নিয়ে আদালত ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন।”

বিচারিক আদালত গত ৭ অগাস্ট খালেদা জিয়ার আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশে বলেছিল, “আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা পেন্ডিং আছে। তিনি এখনও এ মামলায় গ্রেফতার হননি। এ অবস্থায় আসামিপক্ষের জামিন শুনানির আবেদনটি রক্ষণীয় নয় বিধায় নামঞ্জুর করা হলো।”

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে আরও ৩৫টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩৪টিতে তিনি জামিন পেয়েছেন, বাকি আছে দুটি। একটি হচ্ছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং অপরটি হত্যা মামলা।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই মামলায় তিনি জামিন পেলেও অন্য মামলায় গ্রেফতার থাকায় তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না।