খুলনায় ওসি অপসারণের দাবিতে সড়ক অবরোধ, পুলিশসহ আহত ৫

খুলনা খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) অপসারণ ও স্থানীয় যোগিপোল ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় এক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহতের ঘটনা ঘটে। পরে মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বাবুল রানা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন বিক্ষোভকারীরা।

জানা গেছে, সন্ধ্যা ৬টার দিকে সড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। রাত ৮টার দিকে তা প্রত্যাহার করে নেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, স্থানীয় খান জাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রবীর কুমার বিশ্বাসের আশ্রয়প্রশ্রয়ে যোগীপোল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এসব ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার ফুলবাড়ীর দলীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

বিক্ষোভকারীরা জানান, রাত ৮টার দিকে মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বাবুল রানা, যুবলীগ মহানগর সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা আশ্বাস দিলে রাত সোয়া ৮টার দিকে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন তাঁরা। এর আগে অবরোধ চলাকালে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এসআই শিবপ্রসাদসহ দুজন আহত হন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সাম্পাদক বাবুল রানা জানান, শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। এই সময় থানা যুবলীগের আহ্বায়ক এবং যোগিপোল ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান লিংকন সমর্থকরা সমাবেশে হামলা করলে ৫ জন আহত হন। এই ঘটনার প্রতিবাদে দলের নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে। ওসি অপসারণের আশ্বাস এবং হামলার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন অবরোধকারী নেতাকর্মীরা।

বাবুল রানা আরও বলেন, যোগিপোল ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান লিংকনের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শাহবুদ্দিন আহমেদ বলেন, খান জাহান আলী থানার ওসি বিরুদ্ধে আপনারা যেসব অভিযোগ তুলেছেন, তা কেএমপি কমিশনার মাসুদুর রহমান ভুঞাকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেছেন, আগামীকাল (রোববার) থানা থেকে ওসিকে অপসারণ করে নেয়া হবে। লিংকন গনমাধ্যমকে বলেন, আমি স্বচ্ছতার সঙ্গে যোগীপোলবাসীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি কোনো ব্যক্তিকে আটকে রাখিনি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা লিপ্ত হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ওসি প্রবীর কুমারের মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলেও তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। মেসেজ পাঠিয়েও উত্তর পাওয়া যায়নি।