গণটিকাদান হয়রানিতে পরিণত হয়েছে : এনডিপি

প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি, জনবল নিয়োগ ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবে এবং দলীয়করণ ও দুর্নীতির ফলে গণটিকাদান এখন গণহয়রানিতে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি টিকা প্রদানে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে। একই সাথে হয়রানিমুক্তভাবে টিকাদানের দাবি করেছেন।

শনিবার (১৪ আগস্ট) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা ও মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা এই দাবী জানান।

তারা বলেন, টিকা-গণটিকা নিয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই, ফলে গণটিকা কর্মসূচি বুমেরাং হতে পারে জনগন আতংকিত। অন্যদিকে গণটিকা কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হওয়ায় করোনা আরও ভয়াবহ রূপে ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রয়োজন অনুযায়ী টিকা সংগ্রহ করতে না পারলে, গণটিকা কর্মসূচি আবারও মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। দেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য প্রয়োজন হবে কমপক্ষে ২৭ কোটি ডোজ টিকা। তাই গণটিকা কর্মসূচি চালু রাখতে সরকারকে এখনই বিভিন্ন উৎস থেকে দ্রুত টিকা সংগ্রহ করতে হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, কোনো দেশের পক্ষে একা করোনা মোকাবিলা সম্ভব না। বিষয়টি গত দেড় বছরে গোটা বিশ্ব বুঝলেও বাংলাদেশের বর্তমান সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর করোনাকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করে মোকাবিলায় সমন্বিত জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণের দাবিতে কর্ণপাত করেনি।

তারা করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু ঠেকাতে অবিলম্বে দৈনিক কমপক্ষে দুই লাখ করোনা পরীক্ষা, গ্রাম-ইউনিয়ন পর্যায়ে নমুনা সংগ্রহ, উপজেলা পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার ল্যাবরেটরি ও ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করে বিনামূল্যে পরীক্ষা ও চিকিৎসা, প্রাপ্তবয়স্ক সব নাগরিককে জটিলতা ও হয়রানিমুক্তভাবে দ্রুত টিকা দেওয়া, কর্মহীন-শ্রমজীবী মানুষকে খাবার ও নগদ অর্থ সহায়তা এবং গ্রাম-শহরে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানান।