গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনের প্রত্যাশার ইইউ মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধির

গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হবে বলে প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোর।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ইমন গিলমোর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এসময় তিনি এ প্রত্যাশার কথা জানান।

গিলমোর বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে অন্য দেশগুলোর সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানবাধিকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মানবাধিকার। বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউর সম্পর্ক সহযোগিতা অংশীদারত্ব চুক্তির মাধ্যমে বাড়ছে। এটি আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কেরও কেন্দ্রবিন্দু।

বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্যিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী। ইউরোপের বাজারে পণ্যের শুল্ক মুক্ত প্রবেশের সুবিধার (জিএসপি) কারণে অস্ত্র বাদে যে কোনো কিছু রপ্তানি করতে পারবে বাংলাদেশ। এতে বাংলাদেশকে কোনো শুল্ক দিতে হবে না ইউরোপকে। বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের জন্য যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকারকে আরও শক্তিশালী করতে আমরা জোর দিচ্ছি। বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কথা আমি তুলে ধরেছি। বাংলাদেশ সরকার যে এ আইনে কিছু সংশোধনী আনার পরিকল্পনা নিয়েছে, সে সম্পর্কেআমি অবগত। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আলোচনা করছে। যখন আইনটি সংশোধন করা হবে, অর্থাৎ যেসব সংশোধনী আনা হবে, তা আমরা দেখার সুযোগ পাব বলেও প্রত্যাশা করছি।

মানবাধিকার বিষয়ক এ প্রতিনিধি আরও বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন আসন্ন। আমরা আশা করছি, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হবে বলেও প্রত্যাশা করছি।

এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক-নির্বাচনী অনুসন্ধানী দল বাংলাদেশ সফর করেছেন। এখন বাংলাদেশে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে কি না; সেই সিদ্ধান্ত নেবেন ইইউ বৈদেশিক নীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ ব্যারেল। মোট কথা সুশীল সমাজের জন্য একটি সুস্থ পরিবেশ দরকার বলে আমরা জানিয়েছি। যে কোনো দেশের সুশীল সমাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও মুক্ত গণমাধ্যম নিয়েও আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।