গরমে সেদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশ, তীব্র গরম আরো দুদিন

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় বিভাগীয় শহর রাজশাহীর বাসিন্দা ফারিয়া তাবাসসুম বিবিসিকে বলেন, তীব্র গরমে রাজশাহীর জীবনযাত্রা থমকে যাওয়ার জোগাড় হয়েছে।

গরমের তীব্রতা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “প্রচণ্ড গরম, প্রচণ্ড তাপ। এই গরমে কোন কিছু করা যাচ্ছেনা। আমার আব্বু প্রতিদিন ১০-১৫ বার গোসল করে। পানি পর্যন্ত গরম। আমরা বিকেল পাঁচটার পর গোসল করি। টাটকা পানি উঠিয়ে গোসল করতে হয়।”

ঢাকার বাসিন্দা লিমা আক্তার বলেন, গরমের জন্য ঘরে টিকে থাকা দায় হয়ে গেছে।

“ঘরে তো ঢোকাই যায়না। ঘরে আগুনের মতো হয়ে আছে।”

তীব্র গরমে এখন অস্থির বাংলাদেশের বিভিন্ন জনপদ।

ঘূর্ণিঝড় ফণী যখন বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি ছিল তখন দুদিন বৃষ্টিপাত জনজীবনে স্বস্তি এনেছিল। কিন্তু সে ঝড় চলে যাবার পর আবারো বেশ দ্রুত তাপমাত্রা বাড়তে থাকে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস বলছে ঘূর্ণিঝড় ফণী পরবর্তী সময়ে খুলনা, রাজশাহী এবং ঢাকা বিভাগের কিছু অংশে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

সাধারণত রমজান মাসে ঢাকা শহরে মার্কেট পাড়ায় বেশ ব্যস্ততা থাকে। ঈদের কেনাকাটা পুরো-দমে জমে উঠে এ সময়ে। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন।

তীব্র গরমে অনেকে এখন বাসায় থাকাটা শ্রেয় মনে করছেন।

আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড় ফণী পরবর্তী সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গত শুক্রবার রাজশাহীতে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ শনিবার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী এবং যশোরে ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শনিবার ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, “এপ্রিল-মে মাসে বৃষ্টিপাত কম হলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। কারণ এ সময় সূর্য স্থলভাগের উপর খাড়াভাবে কিরণ দেয়।”

মি: হোসেন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, আগামী ১৩ই মে থেকে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে দমকা এবং ঝড়ো হাওয়া সহ বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।