গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর ভগবানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভূয়া দলিল দিয়ে প্রতিষ্ঠিত

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ভগবানপুর (নব) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠা কালীন সময়ে বিদ্যালয়টির নামে ৩৪ শতাংশ জমি দান করেন ওই গ্রামের মৃত আলহাজ্ব মেনহাজ উদ্দিন মন্ডল এবং মৃত শওকত আলী মন্ডল।

আলহাজ্ব মেনহাজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আমিনুল ইসলাম গত ০৫/০১/১৯৮৮ সালে বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি চাকুরীর মেয়াদ কাল শেষ করে গত ২০২২ সালের শেষে দিকে অবসর গ্রহণ করেন।

বিভিন্ন তথ্যানুসন্ধান এবং সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম মন্ডল তৎসময় ওই মৌজার ৫৩১, ৫৩৩, ৫৩৪ সাবেক দাগে তাঁর বাবা এবং চাচার নিকট থেকে ৩৪ শতাংশ জমি দেখিয়ে ভূয়া একটি দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে বিদ্যালয়টির নতুন ভবন নির্মাণের জন্য কোন জমি খুঁজতে গেলে দেখা যায় বিদ্যালয়টি যেটুকু জমি রয়েছে তাও বিদ্যালয়ের নামে নহে। ওই দাগের জমি গুলো প্রতিবেশীর বলে জানা যায়।

পাশাপাশি বলা হচ্ছে আদালতে একটি বটোয়ারা মামলা রয়েছে। তাহলে প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম এত বছর যাবৎ চাকুরী করা কালে একবারের জন্য বিদ্যালয়ের জমির কোন খোঁজ-খবর নেয়নি কেন? এখন তাঁর চাকুরী শেষ। তারপও আমিনুল ইসলাম চাকুরী করা কালীন সময়ে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুদানের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।

বিদ্যালয় নিকটবর্তী প্রতিবেশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের বাপ-দাদার জমির দাগ তুলে দিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে বলে জানান।

এব্যাপারে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম মন্ডলের সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অত্র ক্লাষ্টারের সহকারি উপজেলা অফিসার মো. আব্দুল হান্নান জানান, ভগবানপুর (নব) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির কোন কাগজ-পত্র নেই। যার কারণে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম মন্ডলের বেতন-ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে।

অত্রালাকার সচেতন এলাকাবাসী জানান, ভূয়া দলিল দিয়ে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।