গাইবান্ধান সুন্দরগঞ্জে ভাড়াটে বাহিনী কর্তৃক ধান কর্তনের ঘটনায় আটক- ৪

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের সরকারি দীঘির পাড় গ্রামে রোববার (৫ মে) ভাড়াটে বাহিনী দিয়ে বিরোধপূর্ণ জমির ধান কাটার ঘটনায় চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওইদিন রাতেই আব্দুল কুদ্দুস মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন গাইবান্ধা সদর উপজেলার ভাড়াটে বাহিনীর সদস্য লাবু মিয়া, সিরাজ মিয়া, আনোয়ার হোসেন ও সবুজ মিয়া।

থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের নিকট হতে জানা গেছে, দীর্ঘদিন হতে ওই গ্রামের বাছরত উল্লার ছেলে আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, খলিলুর রহমানের সাথে প্রতিবেশি আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও সোনা মিয়ার জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে আদালতে ও হাইকোর্টে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।

মামলার রায়ের ভিত্তিত্বে আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার গ্রুপ বিরোধপূর্ণ প্রায় ১২ বিঘা জমিতে ইরি-বেরো চাষাবাদ করেন। হঠাৎ করে রোববার মোস্তাফিজার রহমান গ্রুপ ওই রায় হাইকোর্ট স্থগিত করেছে মর্মে দাবী করে গাইবান্ধা জেলা শহর হতে ট্র্যাক এবং এ্যম্বুলেন্সে যোগে কমপক্ষে ৫০০ ভাড়াটে বাহিনী নিয়ে এসে বিরোধপূর্ণ জমির ধান কাটা শুরু করেন। খবর পেয়ে গাইবান্ধা ও সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শী গ্রাম পুলিশ সূযর্য মিয়ার ভাষ্য, ঘটনাস্থল সংলগ্ন তার বাড়ি। রোববার দুপুরে হঠাৎ করে ট্র্যাক, এ্যম্বুলেন্স, ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান, মোটরসাইকেল যোগে কমপক্ষে ৫০০ জন ভাড়াটে লোকজন দেশীয় লাঠিসোডা নিয়ে এসে বিরোধপূর্ণ জমির ধান কাটা শুরু করেন। গ্রাম পুলিশসহ স্থানীয় কিছু সংখ্যক লোকজন তাদেরকে বাধা দেয়। এরপরও জবরদখল করে ধান কাটা শুরু করে ভাড়াটে বাহিনী। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুব আলমের ভাষ্য, বিরোধপূর্ণ জমির ধান কাটার ঘটনা নিয়ে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার (৬ মে) গ্রেফতারকৃত আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণ হয়েছে।