গাইবান্ধায় আবারো আলোচনায় সেই ‘নয়া দামান’

আইলারে নয়া দামান আসমানেরি তেরা’—সিলেটের এই জনপ্রিয় গানের সাথে মিল রেখেই গরুর নাম রাখা হয় ‘নয়া দামান’। প্রায় ৩০ মণ ওজনের এই গরুর মালিক আবুল কাশেম মাস্টার। তার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। গত বছর ঈদুল আযহার আগে নয়া দামান নামের এই গরুটি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারে বেশ আলোচনায় উঠেছিলো। এ বছরেও তুঙ্গে উঠেছে সেই আলোচনা ঝড়। বিশালাকৃতির এই নয়া দামানকে দেখার জন্য প্রতিনিয়তই ভীড় করছেন উৎসুক জনতা।

জানা যায়, প্রায় ৩০ মণ ওজনের ফ্রিজিয়ান জাতের কালো রঙেয়ের গরুটি গতবছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হলেও করোনা পরিস্থিতির বিধিনিষেধের কারণে নয়া দামানকে দেশের বড় কোনো হাটে তোলার সুযোগ হয়নি। এমনকি অনলাইন পশুর হাটেও বিক্রি না হওয়ায় অবিক্রিতই থেকে যায় ওই নয়া দামান। প্রায় ২ বছর ধরে গরুটি লালন-পালন করছেন নিজ বাড়ির খামারে। অনেক আদরে ও যত্নসহকারে বড় হওয়া ‘নয়া দামান’ নামের গরুটি উত্তরাঞ্চলের সেরা বলে দাবি খামার মালিক কাশেমের। এটির দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। এরইমধ্যে চট্টগ্রামের এক গরু ব্যবসায়ী নয়া দামানকে কিনতে ১২ লাখ টাকা দাম বললেও তা বিক্রি করা হয়নি। তবে বাজারে ঠিক দাম পেলে অনেক আদরের নয়া দামানকে বিক্রিকরে দিবেন তিনি।

অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসা শিক্ষক আলহাজ্ব মোঃ আবুল কাশেম মাস্টার জানান, প্রায় দেড় লাখ টাকায় দুই বছর আগে স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষকের কাছ থেকে গরুটি কিনেছেন। এরপর থেকে তিনি নিজ খামারে গরুটি লালন-পালন করেন। নয়া দামান গরুটির প্রতিদিন খাবার বাবদ প্রায় ৪৫০-৫০০ টাকা খরচ হয়। গরুটি গাইবান্ধা জেলা তথা উত্তরাঞ্চলের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় বলে দাবি করেন এই আবুল কাশেম মাস্টার।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুল ওয়াহাব জানান, মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া ছাড়াই গরুটি প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠেছে। প্রথম থেকেই তিনি গরুটির চিকিৎসাসেবা করে চলেছেন।