গাইবান্ধায় বাসদের লাল পতাকা মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতি, দুঃশাসন রুখে দিয়ে গনতন্ত্র-ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ লড়াই-সংগ্রাম গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন।

তিনি বলেন, দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণে পুঁজিবাদী শোষণ ও দুঃশাসন উচ্ছেদ করে বাম বিকল্প গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বেগবান করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও মহান রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ১০৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে গাইবান্ধা পৌর পার্কের শহিদ মিনার চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, দেশের অর্থনীতিসহ যাপিত জীবনে নানামুখী সংকট তীব্র হয়েছে। দুর্নীতি, অনিয়ম ও দলীয়করণে আর্থিক খাতসহ সকল খাতের বেহাল দশা ফুটে উঠেছে। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, আদাসহ নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে জনগণ জিম্মি। কর্মহীন মানুষের আয় কমেছে, দারিদ্র্য বেড়েছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণে অবিলম্বে এই সংসদ বাতিল, সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সব বাম প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

বাসদ গাইবান্ধা জেলা আহ্বায়ক গোলাম রব্বানীর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদকম-লীর সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, জেলা কমিটির সদস্য কার্তিক চন্দ্র সরকার, পরিতোষ কুমার, ইসরাত জাহান লিপি প্রমুখ। পরিচালনা করেন জেলা কমিটির সদস্য সচিব সুকুমার চন্দ্র মোদক।

বক্তারা বলেন, দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নারীর ওপর সহিংসতা, নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যা। সরকার দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি ও ব্যাংক ডাকাতদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসহ সব প্রতিষ্ঠান অকার্যকর করে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। সরকারের দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলা ঠেকাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামে কালো আইন মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করেছে। সংবাদপত্রের কণ্ঠকে রুদ্ধ করেছে। এসব থেকে পরিত্রাণের জন্য সচেতনতা ও প্রতিরোধ আন্দোলন জরুরি।

সমাবেশ শুরুর আগে বেলা ১২টার দিকে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিল্পীরা আবৃত্তি, নৃত্য ও গণসংগীত পরিবেশন করেন। পরে বিভিন্ন দাবি সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে সুসজ্জিত লাল পতাকা মিছিল বের হয়ে জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।