গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জে ফেয়ারপ্রাইজের বঞ্চিত কার্ডধারীদের স্বারকলিপি প্রদান

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের হত দরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্যবান্ধব ফেয়ারপ্রাইজ কর্মসূচি চালু করেছে।

বেশ কয়েক মাস আগে এসব পরিবারকে সরকার অনলাইনের মাধ্যমে নিয়ে আসতে তাদের তালিকা প্রনয়ণের জন্য প্রতি ইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দেয় উপজেলা প্রশাসন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান/মেম্বরগন সুবিধাভোগিদের কাছ থেকে কৌশলে কার্ড জমা নিয়ে অনলাইন করার নামে পুরাতন তালিকা ভুক্তদের মধ্যে অনেককে বাদ দিয়ে নতুন নাম অনলাইন আবেদন করিয়েছে এবং ভুক্তভোগিদের বিভিন্ন হয়রানি করছে। অনলাইন বঞ্চিত অনেক পরিবার বেশ কয়েক কোটা চাল না পাওয়ায় হতদরিদ্র পরিবারগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং তাদের কার্ড বাস্তবায়ন ও চাল পাওয়ার আশায় সভা, সমাবেশ অব্যাহত ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে হতদরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্যবান্ধব ফেয়ারপ্রাইজ কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি চালের পুরাতন কার্ড বাস্তবায়নে ৫ দফা দাবী পেশ করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে খাদ্যমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রেরন করেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি এম এ মতিন মোল্লা।

স্বারকলিপির দাবী সমূহ হলো, সকল কার্ডধারীদের তালিকা বাস্তবায়ন, চেয়ারম্যান, মেম্বরদের নিকট জমাকৃত সকল কার্ড উপকারভোগিদের মাঝে ফেরত দিয়ে, উম্মুক্ত অনলাইনের ব্যবস্থা, অসহযোগিতার কারণে অনলাইন বঞ্চিত কয়েক কোটা চাল না পাওয়া সকল কার্ডধারীদের মাঝে চাল দিতে হবে, তালিকা অন্তভুর্ক্ত নয়, এসব নতুন অনলাইন আবেদন বাতিল, সরকারের এসব কাজে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার।

খাদ্যবান্ধব ফেয়ারপ্রাইজ কর্মসূচির বঞ্চিত হত দরিদ্ররা গোবিন্দগঞ্জ শহিদ মিনার থেকে মিছিল সহকারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশ করে। এতে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি এম এ মতিন মোল্লা, উপজেলা জেএসডির সভাপতি আইয়ুব হোসেন সরকার, উপজেলা ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক লূৎফর রহমান, উপজেলা জাতীয় কৃষক সমিতির সহ সভাপতি মমতাজ প্রধান,শালমারা ইউনিয়নের ভুক্তভোগি গোলজার রহমান, শিবপুর ইউনিয়নের ভুক্তভোগি আনোয়ারা বেগম প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, গরীব মানুষের ভাগ্যনিয়ে কোন ছিনিমিনি খেলা এ দেশের সাধারণ মানুষ মেনে নিবে না। অবিলম্বে সকল কার্ডধারীদের উম্মুক্ত ভাবে অনলাইন করার সুযোগ ও বকেয়া চাল দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন।