গুয়াতেমালায় ভূমিধসে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু

গুয়াতেমালায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইতা’র প্রভাবে গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (০৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখিত সবশেষ তথ্য অনুযায়ী এ সংখ্যা জানা যায়।

মধ্য আমেরিকার এ দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেজান্দো জিয়ামাত্তেই জানিয়েছেন, ‘একটি শহরেই অর্ধেক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। পাহাড় ধসে ২০টি বাড়ি মাটি চাপা পড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইতা’ নামক ঝড়টি হ্যারিকেনের শক্তি ধারণ করে মঙ্গলবার প্রতিবেশী নিকারাগুয়ার উপকূলে আঘাত হানলেও পরে তা দুর্বল হয়ে ক্রান্তীয় ঝড়ে পরিণত হয়। দেশটিতে এক মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টি পাত হয়ে থাকে সেদিন মাত্র ৬ ঘণ্টায় তার চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বন্যা ও পাহাড় ধসের মত ঘটনা বাড়তে থাকে। যা পরবর্তিতে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।

বিবিসি জানাচ্ছে, ক্যাটাগরি ফোর হ্যারিকেন হিসেবে ইতা নামক এই ঘূর্ণিঝড়টি প্রথমে ২২৫ কিলোমিটার গতিতে নিকারাগুয়ার উপকূলে আঘাত হানে। এর প্রভাবে শুরু হয় মৌসুমী বৃষ্টি। এর পর শক্তি কমে প্রতিবেশী হন্ডুরাসে গিয়ে ঝড়টি ক্রান্তীয় নিম্নচাপে পরিণত হয়। পরে আবার শক্তি বাড়িয়ে আঘাত হানে গুয়াতেমালায়।

ইতার আঘাতে মধ্য আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে ৭০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। হ্যারিকেনটে আঘাত হানার আগে নিকারাগুয়ায় হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। দেশটির উত্তর উপকূলে এক খনিতে ভূমিধসে সেখানকার দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন।