প্রেমিকার মামলায় সাবেক প্রেমিক

গোপনে ভিডিও ধারণ ও ইন্টারনেটে দেয়ার হুমকি: বগুড়ায় গ্রেফতার-২

বগুড়ায় এক মেয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় সাবেক প্রেমিকসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

ওই মেয়েটির অন্তরঙ্গ মুহূর্তের গোপন ছবি ও ভিডিওচিত্র ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন তারা। এছাড়া ভিডিও ও ছবি ফেরত দেয়ার কথা বলে ওই মেয়েটির কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাও হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে এ দুজনের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার থানা মোড়ের সামনে রেলগেইট এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার দুজন হলেন, বগুড়া সদর উপজেলার কালিবালা উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ওই মেয়েটির সাবেক প্রেমিক সোহান (২৩)। তার বাবার নাম শেরেকুল প্রামাণিক। আরেকজন হলেন সোহানের বন্ধু সিরাজুল প্রামাণিক (২০)।
সিরাজুল গাবতলী উপজেলার বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদুল প্রামাণিক।

এ তথ্য নিশ্চিত করেন বগুড়া র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (লেফটেন্যান্ট কমান্ডার) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।

র‌্যাব ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সোহানের সঙ্গে ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের প্রেমের সম্পর্ক থাকাকালীন কলেজছাত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের গোপন ছবি ও ভিডিওচিত্র ধারণ করেন সোহান ও সিরাজুল। পরে মেয়েটির কাছ থেকে দুই লাখ টাকা দাবি করেন অভিযুক্তরা। টাকা না দিলে ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। মেয়েটি বাধ্য হয়ে কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ ৩৭ হাজার টাকা তাদেরকে দেন। এতেও থামেনি সোহান ও সিরাজুল। তারা বাকি টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এছাড়াও মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার সুযোগ খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে মেয়েটি বাধ্য হয়ে তার অভিভাবকের সঙ্গে সবকিছু আলোচনা করেন। পরে মেয়েটির অভিভাবক সোহান ও সিরাজুলের পরিবারকে বিষয়টি জানান। পরবর্তীতে মেয়েটি বগুড়া সদর থানায় সাবেক প্রেমিক সোহান ও সোহানের বন্ধু সিরাজুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন গ্রেফতার দুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকার করেছেন, গোপন ভিডিওচিত্র ও ছবি ফিরে দিতে ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষার্থীর কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন তারা। মেয়েটি তার ব্যবহৃত স্বর্ণালংকারসহ নগদ ৩৭ হাজার টাকা তাদেরকে দেন। এরপরেও বাকি টাকা হাতিয়ে নিতে ও শারীরিক সম্পর্ক করতে মেয়েটিকে চাপ দিতে থাকেন সোহান ও সিরাজুল। একপর্যায়ে মেয়েটি সদর থানায় মামলা করেন। গ্রেফতার দুইজনের কাছ থেকে গোপন ভিডিওচিত্র ও ছবি উদ্ধার করা হয়েছে