গোপন মার্কিন সেনাঘাঁটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে ভিনগ্রহের জীব নিয়ে!

ভিনগ্রহের প্রাণী কিংবা তাদের যান নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। একাধিকবার পৃথিবীর আকাশে ভিনগ্রহের উড়ন্ত যান দেখতে পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন অনেকেই।

কিন্তু কোনো দেশেরই প্রশাসন সেই দাবির সত্যতা স্বীকার করেনি। তবে এবার গোপন মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ভিনগ্রহের প্রাণীদের এনে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় বলে দাবি তুললেন এক ইঞ্জিনিয়ার। যিনি নিজে ওই প্রকল্পের সঙ্গে ৩৯ বছর যুক্ত ছিলেন বলে জানান। এই বিষয়ে একটি বইও লিখছেন তিনি।

মার্কিন বিমান বাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার রেমন্ড সিমানস্কি দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বুকে যখনই কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান ভেঙে পড়েছে, তখনই অত্যন্ত গোপনে মার্কিন গোয়েন্দারা সেই ধ্বংসাবশেষ তুলে এনে ওহাইওতে রাইট-প্যাটারসন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রেখেছেন। বাইরে থেকে ওই ঘাঁটি দেখতে যে কোনো সাধারণ বাড়ির মতোই। কিন্তু বাড়ির নিচে রয়েছে অজস্র টানেল। সেই টানেলগুলো গিয়ে মেশে একটি গবেষণাগারে, যেখানে ভিনগ্রহের রহস্যময় প্রাণীদের নিয়ে কাটাছেঁড়া চলে। কেউ বাড়িটি খুঁজে পেলেও ওই টানেলের ম্যাপ না জানলে সারাজীবন সেখানেই ঘুরে মরে যাবেন! রেমন্ড দাবি করেছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি এলিয়েনদের বিষয়ে জানতে চাইলে, তাঁরা স্পষ্ট করে কিছুই জানাননি।

কাজে যোগ দেওয়ার প্রথম সপ্তাহেই রেমন্ডকে এমন কিছু বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পরীক্ষা করে দেখতে বলা হয়, যেগুলো এর আগে পৃথিবীর বুকে কোথাও দেখা যায়নি। ১৯৪৭-এর ২ জুলাই নিউ মেক্সিকোর রসওয়েল টাউনে একটি রহস্যজনক উড়ন্ত যান ভেঙে পড়ার ঘটনায় বিশেষ চাঞ্চল্য ছড়ায় সংবাদমাধ্যমে। রেমন্ড দাবি করেছেন, ওই দুর্ঘটনাস্থল থেকেও বেশ কয়েকটি ভিনগ্রহের প্রাণীর দেহ, তাদের মহাকাশযানের ভাঙা টুকরো উদ্ধার করা হয়। দেহগুলো মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে এনে ময়নাতদন্ত করা হয়। যানটি পরীক্ষা করে দেখেন মার্কিন বৈজ্ঞানিকরা। ওই যানের নমুনা সংগ্রহ করে যুক্তরাষ্ট্রও নতুন মহাকাশযান তৈরির কাজ শুরু করে দেয়। যদিও মার্কিন প্রশাসন সুকৌশলে গোটা ঘটনাটাই ধামাচাপা দিয়ে দেন। সত্তরের দশকে ধীরে ধীরে ওই ঘটনার কথা মানুষ ভুলে যান।

কিন্তু ২০১২-য় এক প্রাক্তন সিআইএ এজেন্টের বিস্ফোরক মন্তব্যে ফের শিরোনামে উঠে আসে রসওয়েল। ওই মার্কিন গোয়েন্দা বলেন, ‘রসওয়েল একটি সত্যি ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ইউএফও (অজানা উড়ন্ত যান) সত্যি ভেঙে পড়েছিল। তার উল্লেখ আমি নিজে সিআইএ-র ফাইলে দেখেছি।