গোপালগঞ্জে পত্রিকা বিক্রেতা জামিলকে ঘর উপহার দিলেন মেয়র রকিব

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হিসেবে শেখ রকিব হোসেনকে মনোনীত করার পর থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন মেয়র। এবার গোপালগঞ্জ শহরের পত্রিকা বিক্রেতা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হকার জনাব জামিলকে নিজস্ব অর্থায়নে মুজিব শতবর্ষে গৃহ নির্মাণ করে দিলেন মেয়র রকিব। মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে মেয়র শেখ রকিব হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরটি জামিলের পরিবারকে হস্তান্তর করেন।

জানা গেছে, শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে অপারগ জামিল। জামিল বেঁচে থাকার তাগিদে বেছে নেন পত্রিকা বিক্রি করে অর্থোপার্জন। পায়ে হেঁটে গোপালগঞ্জ শহরের অফিস আদালত থেকে সর্বত্র পত্রিকা পৌঁছে দেন জামিল। স্বল্প আয়ে অনাহারে অর্ধাহারে ভাঙা খুপরি ঘরে জীবন-যাপন করতো জামিল। শেখ রকিব হোসেন মেয়র মনোনীত হওয়ার পরে ছুটে যান জামিলের বাসায়। এরপর লক্ষাধিক টাকায় নিজস্ব তহবিল থেকে ঘর করে দেন জামিলকে।

জামিল কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, “পত্রিকা বিক্রি করে কোন রকমে দুমুঠো ভাত খেয়ে সংসার চলে। রোদ-বৃষ্টিতে ভাঙা ঘরে বসবাস করতাম। কিন্তু মানবিক মেয়র আমার দুরাবস্থার কথা শুনে এগিয়ে আসেন। আমাকে নিজের টাকা দিয়ে ঘর করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মনোনীত নৌকার মাঝির সাহায্য আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছে।”

এবিষয়ে গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শেখ রকিব হোসেন বলেন, জামিলের থাকার ঘরটি বসবাসের অনুপযোগী। আমি শুনেই তার বাড়িতে যাই এবং নিজস্ব অর্থায়নে তার ঘর করে দেই। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর করে দেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জামিলের জন্য আমিও ঘরটি করে দিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “অসহায়, নিরাশ্রয়, দরিদ্র ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের পাশে দাঁড়ানো সামর্থ্যবান সকল মানুষের একান্ত মানবিক কর্তব্য। এটা শুধু মানবিক কর্তব্যই নয়, এ ব্যাপারে ইসলামের সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনাও আছে। মানুষ যদি মানুষের জন্য না হতো, তাহলে মানবসভ্যতার এতটা বিকাশ ও উন্নয়ন কখনোই ঘটতে পারতো না। মানুষের টিকে থাকার একটা বড় কারণ পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি, সহায়তার মনোভাব এবং সংঘবদ্ধতা।