গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল নারীদের তীরছোড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাগদাফার্ম জয়পুর মাঠে নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগের আয়োজনে শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সাঁওতাল নারীদের ক্রীড়া ও ঐতিহ্যবাহী তীর ছোড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক উৎসব ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক ও জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ওয়াজিউর রহমান রাফেল, সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে, জনউদ্যোগের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব তারিক হোসেন মিঠুল, জনউদ্যোগের জেলা সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলী রানী দেবী, গোলাম রব্বানী মুসা, আদিবাসী নেত্রী প্রিসিলা মুরমু, জনউদ্যোগ সদস্য মাহাবুবুর রহমান মজনু, জুলফিকার আহমেদ গোলাপ, মহেন্দ্রনাথ সেন, সেলিনা বাবু, সোলাইমান আহমেদ, নজরুল ইসলাম, শালিমা জান্নাত তমা, সাকাওয়াত হোসেন, লতা মন্ডল, প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সমতলের আদিবাসীরা বিলুপ্ত হওয়ার পথে। ‘শুধু আদিবাসীই বিলুপ্ত হচ্ছে না, তাঁদের সংস্কৃতিও বিলুপ্ত হচ্ছে। তারা বাংলাদেশের দরিদ্রতম জনগোষ্ঠী। অধিকাংশই ভূমিহীন, তাঁদের হাতে ভূমি নেই। আদিবাসীরা জাতীয়তাবাদী ঘৃণার শিকার। ১৯৭১ সালের আগে তারা যেমন পাকিস্তানিদের ঘৃণার শিকার হয়েছিল, তেমনি তারা এখনও ঘৃণার শিকার হচ্ছে। বক্তারা আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় আদিবাসী মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, এবং তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অবিলম্বে তাদের জন্য পাঠ্যপুস্তক, তাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষায় সরকারি উদ্যোগ নেয়ার দাবী জানান। সেইসাথে বক্তারা আদিবাসী জনগোষ্ঠী নীতি-নির্ধারণী প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়ায় যুগে যুগে তাদের অনেকে প্রান্তিকায়িত, শোষিত হচ্ছে। যখন এসব অন্যায্য, অবিচারের বিরুদ্ধে নিজেদের অধিকারের পক্ষে তারা কথা বলছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা দমন নির্যাতন ও হত্যার শিকার হচ্ছে। গোবিন্দগঞ্জের আদিবাসীরাও তার ব্যতিক্রম নয়।