চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজ্ঞানচর্চার বিকল্প নেই: ড. হাছান

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজ্ঞানচর্চার বিকল্প নেই বলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম থেকে ফিরে ঢাকার ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) মিলনায়তনে মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সংস্থাটি আয়োজিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন (ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি) এর সমাপনীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।

এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, পেছনের তিনটি শিল্পবিপ্লবে আমরা পিছিয়ে পড়লেও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বাংলাদেশ বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে। বিজ্ঞানমনস্ক জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অভিলক্ষ্য ঘোষণা দেন ২০০৮ সালে, আর ভারত এমনকি যুক্তরাজ্যের ঘোষণাও এর পরে এসেছে।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নশীল কিন্তু আমরা জাতি হিসেবে মেধাবী উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, আমাদের মেধাবী সন্তানেরা বিশ্বের বহুস্থানে স্থাপত্য-নির্মাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের মেধার স্বাক্ষর রেখে চলছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সাথে সমানতালে চলার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই মেধাগঠন ও বিজ্ঞানচর্চার উত্তরোত্তর প্রসার একান্ত প্রয়োজন।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাগ্রহণে সকলকে উৎসাহিত করেন এবং বলেন, আমাদের বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদেরকে বৈশ্বিক পরিচিতি দিতে এধরণের আন্তর্জাতিক সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সায়েন্স ল্যাব বলে সমধিক পরিচিত বিসিএসআইআর এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: আফতাব আলী শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানশেষে আয়োজক কমিটির সচিব ড. মো: সারওয়ার জাহান সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

ইতিহাস বিকৃতিকারীরা এক ধরনের দুস্কৃতিকারী : তথ্যমন্ত্রী

শনিবার সকালে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পতেঙ্গা সী-বীচে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) আয়োজিত সিটি আউটার রিং রোডে সাইকেল লেইন’র উদ্বোধনকালে তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, যারা ইতিহাস বিকৃতি ঘটায়, তারা ইতিহাসের পাতায় এক ধরণের দুস্কৃতিকারী।

‘স্বাধীনতার এই সুবর্ণ জয়ন্তীতে বিএনপিসহ যে সকল রাজনৈতিক দল এই ধরনের ভুল করেছে, আশা করি তারা সেই ভুল থেকে বের হয়ে আসবেন, তাহলে দেশের মানুষ তাদেরকে সাধুবাদ জানাবে’ বলেন তিনি।

বিএনপির উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, তারা স্বাধীরতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বছরে সত্যটাকে মেনে নেবেন, ইতিহাস মেনে নেবেন। কিন্তু তারা জন্মলগ্ন থেকে কয়েক দশক ধরে যে ইতিহাসবিকৃতি করে আসছেন, ৭ই মার্চ পালন করতে গিয়েও সেটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন নাই।’

এসময় ‘পাকিস্তানিদের বুঝের সাথে বিএনপির বুঝের খুব মিল রয়েছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেখলাম ৭ই মার্চ পালন করতে গিয়ে বিএনপি যে বক্তব্য দিল তাতে বোঝা যায়, ৭ই মার্চের ভাষণ পাকিস্তানিরা যেমন বুঝতে পারে নাই, তেমনি বিএনপিও বুঝতে পারে নাই।’

সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, বোর্ড সদস্য মো. জসিম উদ্দিন, কে.বি.এম শাহজাহান, জসিম উদ্দিন শাহ, এম আর আজিম, রোমানা নাছরিন, বোর্ড সচিব আনোয়ার পাশা প্রমুখ।

তথ্যমন্ত্রী এসময় পরিবেশবান্ধবতার জন্য চট্টগ্রাম শহরে আরো রাস্তায় এই সাইকেল লেইন করার জন্য সিডিএকে অনুরোধ জানান। সাইকেল লেইন উদ্বোধনকালে মন্ত্রী নিজেও সাইকেল চালান।

তিনি বলেন, প্রথম থেকেই সিডিএ’র কাছে নিবেদন ছিল এখানে একটা সাইকেল লেইন রাখার। আমি বিদেশে পড়ালেখা কালে সাইকেল চালিয়ে ভার্সিটিতে আসা-যাওয়া করতাম। আমাদের শহরগুলোতেও এধরণের সাইকেল লেইন করতে পারলে ভালো হতো।

তথ্যবিবরণী-পিআইডি