চাঁদাবাজির ইমপ্যাক্ট দ্রব্যমূল্যেও পড়ছে, এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: ওবায়দুল কাদের

চাঁদাবাজি অতিরিক্ত বাড়ার বিষয়টি মনিটরিংয়ে আছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চাঁদাবাজি বন্ধ করা সম্ভব নয়, তবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সড়কপথে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরিবহন নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘চাঁদাবাজি অতিরিক্ত বাড়ার বিষয়টা আমাদের মনিটরিংয়ে আছে। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারবেন? হয়তো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে! করাপশন কোথায় হচ্ছে না! আমেরিকায় হচ্ছে না! কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। চাঁদাবাজি এমন জায়গায় গিয়ে পড়েছে যে, আজ প্রধানমন্ত্রীকেও এ নিয়ে বলতে হচ্ছে। কারণ, এটার ইমপ্যাক্ট দ্রব্যমূল্যেও গিয়ে পড়ছে।’

তিনি বলেন, ঈদের সময় কিছুটা যানজট হবে। যানজটমুক্ত দাবি করা সমীচীন নয়। মহাসড়কগুলোয় ১৫৫টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে যানজটের সম্ভাব্য স্পট হিসেবে, সবচেয়ে বেশি ঢাকা-উত্তরবঙ্গ ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে।

কাদের বলেন, যানজট কমাতে জরুরি পরিষেবা ছাড়া ঈদের আগে-পরে ৩ দিন করে মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেযা হয়েছে। এ ছাড়া ঈদের ৭ দিন আগে শেষ করতে হবে মহাসড়কের সংস্কারকাজ।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে দুর্ভাবনার শেষ নেই। তবে বিআরটিএ ও হাইওয়ে পুলিশের ক্ষমতা বাড়াতে না পারলে, যত ভালো সিদ্ধান্তই নেয়া হোক না কেন, কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না। ঈদে দুটি জায়গা ঠিক করলে সব ঠিক। হানিফ ফ্লাইওভার থেকে ঢাকায় নির্বিঘ্নে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে এবং গাজীপুর সড়কে।